খেলা ডেস্ক
জুলাই ২২, ২০২৩
০৩:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২২, ২০২৩
০৩:০৩ অপরাহ্ন
অলিখিত ফাইনালে ভারতকে অলআউট করে ড্র করল বাংলাদেশ। মেয়েদের ক্রিকেটে একদিনের আন্তর্জাতিকে এর আগে আটটি টাই ম্যাচ দেখেছিল বিশ্ব। আজ বাংলাদেশ নবমটির স্বাক্ষী হলো মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচ ড্রয়ের সঙ্গে সিরিজটাও ড্র করে নিল বাংলাদেশ।
টস জিতে এদিন আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ফারজানা হকের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ২২৫ রান সংগ্রহ করে। যা টাইগ্রেসদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। ৫ ওভারে হারায় তারা ২ টপ অর্ডারকে।
কিন্তু স্মৃতি মান্ধানা ও হারলিন দেওলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারিরা। সিরিজে সমতা থাকায় অলিখিত ফাইনালে জয়ের পথেই যেন এগোতে থাকা ভারত তাদের ব্যাটে ভর করে। দুজনে মিলে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। স্মৃতিকে ফিরিয়ে তা ভাঙেন ফাহিমা খাতুন। তার বলে ক্যাচ লুফে নেন সুবহানা মোস্তারি।
অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরও বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ফাহিমার বলে তার ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে নাহিদার হাতে ধরা পড়ে বল। তাতে মেজাজ হারান ভারত অধিনায়ক। ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন স্টাম্পে। ফিরে যাওয়ার সময় আম্পায়ারকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতেও দেখা যায় তাকে।
তবে ভারতের কফিনে যেন শেষ প্যারেকটা তিনিই ঠুকে দিয়েছিলেন। কারণ তারপরই শুরু হয় যাওয়া আসার মিছিল। জেমিম রদ্রিগেস এক প্রান্ত আগলে রাখলেও আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন বাকিরা। তবুও লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে থাকায় জয়ের পাল্লাটা সফরকারিদের দিকেই ঝুলে ছিল।
কিন্তু রোমাঞ্চটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন টাইগ্রেস বোলাররা। খেলা শেষ হতে তখনও ১৯ বল বাকি। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন মাত্র ১০ রান। ৪৭তম ওভারের শেষ বল। রাবেয়া খানের বলে এলবির ফাঁদে পড়লেন আমানজত কৌর। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে উল্লাসে ফেটে পড়েন নিগার সুলতানারা। তবে জয়টা ভারতের মুঠোতেই ছিল। কিন্তু পরের ওভারে আসল চমক দেখান নাহিদা। দুই বলের ব্যবধানে ফেরান স্নেহ রানা ও দেভিকা বৈদ্যকে। গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা উন্মাদনায় ফেটে পড়েন।
কিন্তু তাদের সেই হাসি স্থায়ী হলো না। মেঘনা সিংয়ের এক চারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সুলতানা খাতুনের বলে স্লগ সুইপ করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বল পাঠান। দুজন ফিল্ডারকে পাশ কাটিয়ে বল সীমানা ছাড়িয়ে যায়। তাতেই যেন হারটা আরও জোড়াল হয় বাংলাদেশের। ভারতের ড্রেসিং রুমও উল্লাসে মাতে।
শেষ ওভারে ৩ রান আহামরি কোনো লক্ষ্য ছিল না ভারতের জন্য। যদিও হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেট। তবুও উইকেটের এক প্রান্তে ছিলেন জেমিমা রদ্রিগেজ। কিন্তু সেটা হতে দেননি মারুফা আক্তার। তার পেস তোপে ক্যাচ উঠলে লুফে নেন জ্যোতি। ইতিহাস গড়া এক টাই নিশ্চিত হয় সেই উইকেটে। তাতে ঐতিহাসিক এক সিরিজেরও সমাপ্তি হয়।
আরসি-০১