সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ০২, ২০২৩
০১:১৮ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০২, ২০২৩
০১:১৮ অপরাহ্ন
আবিষ্কারের পর প্রায় ২০ বছর ধরে ওষুধটির উন্নয়নে কাজ করেছেন গবেষকেরা। এবার এটিকে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের ওপর পিল হিসেবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন তাঁরা।
আজ বুধবার স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এওএই ১৯৯৬’ নামের ওই ওষুধটি প্রোলিফারেটিং সেল নিউক্লিয়ার অ্যান্টিজেন (পিসিএনএ) নামে একটি প্রোটিনের ক্যানসার রূপকে শিকারে পরিণত করতে পারে। পিসিএনএ-কে অতীতে ‘অনিরাময়যোগ্য’ হিসাবে বিবেচনা করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ক্যানসার গবেষণা ও চিকিৎসা সংস্থা ‘সিটি অফ হোপ’ ওষুধটি নিয়ে কাজ করছে। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক লিন্ডা মালকাস জানান, প্রোলিফারেটিং সেল নিউক্লিয়ার অ্যান্টিজেন (পিসিএনএ) মারাত্মকভাবে ক্যানসার কোষে পরিবর্তিত হতে পারে। এ জন্যই এটিকে টার্গেট করে ওষুধ তৈরি করা হয়েছে।
পিসিএনএ-কে একটি একটি বিমানবন্দরের সঙ্গে তুলনা করে লিন্ডা বলেন, ‘আমাদের ক্যানসার হত্যাকারী পিলটি একটি তুষারঝড়ের মতো, যা ওই এয়ারলাইন হাব থেকে ক্যানসার কোষ বহন করা বিমানগুলোর আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।’
প্রাথমিক ফলগুলো আশাব্যাঞ্জক হওয়ায় এবং দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের আলোকে গবেষকেরা দেখেছেন, নতুন ওষুধটি কোষ এবং প্রাণী মডেলগুলোতে টিউমারের বৃদ্ধিকে দমন করতে পারে। তাই মানুষের মধ্যে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায় শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ওই ওষুধটি স্তন, প্রোস্টেট ও ব্রেইন ক্যানসারসহ ডিম্বাশয়, সার্ভিক্যাল, ত্বক এবং ফুসফুস ক্যানসার থেকে সংগৃহীত কোষের চিকিৎসায় কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আশা করা যায়, এবার রোগীদের মাঝে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলে ক্যানসার চিকিৎসায় পৃথিবীকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে এওএই ১৯৯৬।
এএফ/১২