নদী থেকে উদ্ধার লাশের কোমরে বাঁধা ১০ কেজি সোনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ০৯, ২০২৩
০২:১৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২৩
০৩:০১ অপরাহ্ন



নদী থেকে উদ্ধার লাশের কোমরে বাঁধা ১০ কেজি সোনা


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিরাজ আলি (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তার কোমরে বাঁধা ছিল ১০ কেজি স্বর্ণ। রবিবার বেলা ৪টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদীর স্থানীয় ঘাট মোড়ে লাশটি ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন।

এসময় লাশের কোমর থেকে ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯ দশমিক ৮৮ ভরি) ছোট–বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। মিরাজ আলি দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।

পরে রাত ৯টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আজ (রবিবার) বারাদী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে এমন সংবাদ পায় বিজিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারাদী বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করে। বেলা ৪টার দিকে টহলদল বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, দুজন স্বর্ণ চোরাকারবারি স্বর্ণসহ সীমান্ত পিলার ৮০ /১–আর–এর কাছ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় একজন পানিতে ডুবে মারা যান। অপরজন পালিয়ে গেছেন।

পরে বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া চোরাকারবারির লাশ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁর শরীরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৫৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বারগুলোর মোট ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম।

মোহাম্মদ জাহিদুর বলেন, ‘এ ঘটনায় নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা করেছেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আর লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’


এএফ/০১