বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের জয় অস্ট্রেলিয়ার

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ২৬, ২০২৩
১২:৪৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৬, ২০২৩
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন



বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের জয় অস্ট্রেলিয়ার
৩০৯ রানের ব্যবধানে হারল ডাচরা


বিশ্বকাপে সরূপে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া! দেরিতে হলেও তাদের পুরোনো খেলাটা দেখল বিশ্ব। জোড়া হারের দাগ মুছল ইতিহাস লিখেই। বুধবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অসিদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, তারা একদল ক্ষুধার্ত বাঘ। শুরু থেকে শেষ অবধি বলেকয়ে ডাচ বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-ঝড়! রীতিমতো টর্নেডো ইনিংসই উপহার দেন তিনি। ৪০ বলে তুলে নিলেন বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি। হয়েছেন ম্যাচ সেরা। যার সুবাদে ৩৯৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

এই বিশাল লক্ষ্য মাথায় নিয়ে একেবারে ভেঙে পড়ে নেদারল্যান্ডস। ১০ জন মিলে ১০০ রানও করতে পারেনি। আর ম্যাচটা ৩০৯ রানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া, যা কিনা ওয়ানডে বিশ্বকাপে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয়।

এর আগের রেকর্ডও ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দখলে। ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানদের বিপক্ষে ২৭৫ রানে জিতেছিলেন তারা। এবার সেটাও ছাড়িয়ে গেলেন। এক দিনের ক্রিকেটে আবার বড় জয়ের হিসাবে এর স্থান দুইয়ে। এখনও শীর্ষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৩১৭ রানের জয়।

অস্ট্রেলিয়া যেভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল, তাতে তাদের নিয়ে কেউ এতটা আশা করেনি। কিন্তু টানা দুই হারের পর আবার চেনারূপে ফেরা অসিদের এবার অন্তত গোনায় রাখতেই হবে। বাকি পথটা এভাবে জয় দিয়ে রাঙাতে পারলে হয়তো সেমিফাইনালেও দেখা যাবে কামিন্স-জাম্পাদের। সে ক্ষেত্রে সেমির দৌড়ে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকেও দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।

তবে সবকিছুর পরও এই জয়ের বড় কৃতিত্ব ম্যাক্সওয়েল আর ওয়ার্নারের। তাদের দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন দুইশর বেশি রান, যেটা অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বড় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ওয়ার্নার পেয়ে গেছেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। এর আগে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের সঙ্গে করেছিলেন ১৬৩। এবার করলেন ১০৪।

অস্ট্রেলিয়া যে দুটি ম্যচে হেরেছিল, সেই দুটি ম্যাচে তাদের টপঅর্ডার মোটেও ভালো করেনি। কিন্তু পরের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। মিচেল মার্শ, ওয়ার্নার, ল্যাবুশেনরা নিয়মিত রান পাচ্ছেন। এবার তাদের আরেক অস্ত্র ম্যাক্সওয়েলও ফিরলেন চেনা ছন্দে। তাতে এই অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এবার বাজি ধরাই যায়। অন্তত নেদারল্যান্ডসকে এভাবে গুটিয়ে দেওয়ার পর। কারণ, এই ডাচদের মোটেও সহজ ভাবার জো নেই। ক’দিন আগেও তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। নিশ্চয়ই সেটা অসিদেরও মনে ছিল। তাই তো সতর্ক হয়ে ধীরে ধীরে রান তোলার গতিটা বাড়িয়ে দেয় তারা।

মূলত অসিদের টার্গেট ছিল বড় ব্যবধানে জেতার। কারণ নেট রানটা বাড়িয়ে নেওয়ার এটাই ছিল সুবর্ণ সুযোগ। সেই পরিকল্পনায় সফল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরই মধ্যে সেরা চারের জায়গাটা আরও পোক্ত করেছে নিয়েছে দলটি। পাঁচ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট এখন তাদের নামের পাশে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ৩৯৯/৮ (ওয়ার্নার ১০৪, ম্যাক্সওয়েল ১০৬, স্মিথ ৭১, ল্যাবুশেন ৬২; বিক ৪/৭৪)।

নেদারল্যান্ডস: ৯০ (বিক্রমজিত ২৫, অ্যাকারম্যান ১০, অ্যাডওয়ার্ডস ১২*; জাম্পা ৪/৮)।

এএন/০১/২৬১০২৩