ধর্মপাশায় নিখোঁজের তিন দিন পর কংস নদ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
০৪:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২৪
০৬:৩১ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় নিখোঁজের তিন দিন পর কংস নদ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের  ঘুলুয়া গ্রামের গৃহবধূ আঁখি মনি (২০) গত রবিবার (২১জানুয়ারি) সকাল ছয়টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর স্থানীয় কংস নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় গতকাল বুধবার বেলা একটার দিকে  ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আঁখি মনি ঘুলুয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল হোসেনকে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওইদিনই ঘটনাস্থল এলাকা থেকে  পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  গত রবিবার সকাল ছয়টার দিকে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর পরিবারের সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে বসতঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে গত সোমবার ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই গৃহবধূর স্বামী। ডায়েরি নম্বর ৭৮৯। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে  স্থানীয় এক ইউপি সদস্য  উপজেলা ঘুলুয়া গ্রাম সংলগ্ন কংস নদে এক নারীর লাশ ভাসছে দেখতে পান। এমন খবর পেয়ে ওইদিন সকাল ১১ টার দিকে  ঘটনাস্থলে যান ধর্মপাশা থানা পুলিশ। পরে গৃহবধূর স্বজনদের উপস্থিতিতে বেলা একটার দিকে কংস নদ থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী খুব ভালো ছিল। কেন যে সে এমন ঘটনা ঘটালো তার কোনো কারণ খোঁজে পাচ্ছি না।  

গৃহবধূর বাবা  আয়নাল হক (৬৫) বলেন,  আমার কাছ থেকে টাকা এনে জামাইকে দেওয়ার জন্য  আমার মেয়েকে জামাই প্রায়ই চাপ দিত।  আমি সাধ্যমতো যখন যা পেরেছি তাই দিয়েছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে মেয়ের জামাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ওই নদীতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করব।

বিল্লাল হোসেনে বড় ভাই খায়রুল মিয়া বলেন, শ্বশুড় বাড়ি থেকে আমার ছোট ভাইকে কখনো টাকা আনতে শুনিনি। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। 

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ওই গৃহবধূর লাশের সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য  গৃহবধূর লাশটি সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


এসএ-০১/ এএফ-০৪