সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
০৪:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
০৪:২৮ অপরাহ্ন
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তিশিল্পী ও লেখক সুকান্ত গুপ্ত’র কবিতার গ্রন্থ ‘এবং মেঘবালিকা’। এটি লেখকের চতুর্থ মৌলিক গ্রন্থ। এর আগে লেখকের আরও তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো, ‘অরণি’ ‘অপ্রস্তুত যাত্রা’এবং 'গন্তব্য'। প্রকাশিত হয়েছে আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদনা- আবৃত্তিশৈলী।
‘এবং মেঘবালিকা ’ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ এ পাওয়া যাচ্ছে। কবিতা গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে মূর্ধন্য প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সামির বিপ্লব। পাঠকরা অমর একুশে বইমেলার মূর্ধন্য প্রকাশনীর ১০৬-১০৭ নম্বর স্টল থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও বইটি অনলাইনে রকমারি ডটকমে পাওয়া যাবে।
উপন্যাসটি সম্পর্কে জনপ্রিয় লেখক আরন্যক বসু বলেন- "কবি আঁকে তার শব্দ প্রতিমা,আকাশে আকাশে নদী অরণ্যে,তারা দীপ জ্বলা দূর ছায়াপথে, এবং মেঘবালিকার জন্যে।"
কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে যে আদিগন্ত বাংলা ভাষার দেশ, যে দেশের ঘূর্ণিধুলো ও মৃত্তিকার অন্তরে আমারমতো অনেকের মা বাবা বিস্মৃতিহীন স্মৃতি, সে দেশের খুব চেনা মুখ ও পরিচিত মানুষ কবি সুকান্ত গুপ্ত। বন্ধু ও সুজন সুকান্তর আগামীর কাব্যগ্রন্থ -" এবিং মেঘবালিকা" র প্রচ্ছদ ও কাব্য সুষমায় আমি মুগ্ধ হলাম। হৃদয়ের গভীরতম অন্তরমহলে থাকে স্বদেশ, মা, বাবা, ভাই, বোন, মাটি ও প্রতিবেশী। থাকে পল্লী ও নগরের নিবিড় সখ্য। বন্ধু ও কবিমন সুকান্তর কবিতায় ভালোবাসা ও মাটির গন্ধ, নদী, অরণ্য, টিলা, সাগর, বন্ধু ও প্রেম মিলে মহব্বতে একাকার হয়ে যায়। কবিতার নামগুলোও খুব মায়া জড়ানো- গোধূলির ছেড়ে যাওয়া শেষ ট্রেন, ক্ষয়ে যাওয়া, সীমান্ত, প্রতীক্ষা, ফেরিওয়ালা, আবার জীবনানন্দ, খুঁজে ফিরি, আবাহন হতে বিসর্জন, শেফালী বালিকা, না বলা কথা, কবিতায় বলা যায়, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে, বিষন্ন স্রোতে ভেসে যাই, শ্যামা কিংবা মেঘবালিকা, হিয়ার মাঝে যে মন.....
এমনি করে গোটা বইটাই পড়া হয়ে যায়। কাঁটাতারের এপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর অসুখে গৃহবন্দী। তবুও এক আকাশ শুভেচ্ছা জানালাম। বইটি অবশ্যই পাঠকের ভালো লাগবে।
বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব,আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চার পাশাপাশি নিয়মিত স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিকে লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে সুকান্ত গুপ্তর প্রথম কবিতা গ্রন্থ " এবং মেঘবালিকা" পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।