আহত শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
০৪:৩৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
০৪:৩৯ অপরাহ্ন



আহত শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি
সাদা পাথরে এসে দুর্ঘটনা


সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ‘সাদা পাথর’ পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে এসে সড়ক দুর্ঘটনার হাত হারানো মেহদি হাসান নামের শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের  টুকেরবাজার এলাকায় সড়ক পাড় হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাহদি (সাড়ে ৫ বছর) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জয়রামপুরের মামুনের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান। 


পূর্বের সংবাদ:

সাদা পাথরে এসে দুর্ঘটনায় হাত হারাল লক্ষ্মীপুরের শিশু মাহদি


প্রতক্ষদশী স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন চৌধুরী জানান, সিলেটগামী একটি পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তার ডান হাতের বেশির ভাগ অংশ থেতলে রাস্তায় পড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথম কোম্পানীগঞ্জ ৫০ শয্যা হাসপাতালে পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষার্থীসহ পিতা-মাতার সাথে বুধবার সাদা পাথর বেড়াতে মাহদি। ফেরার পথে টুকেরবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে তারা খাওয়া-ধাওয়া করেন। ওই সমময় মাহদি রাস্তার পাশের দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে পারাপারের সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর ট্রাকের চাকার নীচের মাহদির একটি হাত পড়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন চৌধুরী ও ইয়াহিয়া জাকারিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। 

স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াহইয়া জাকারিয়া বুধবার সন্ধার দিকে জানিয়েছেন মাহদির ডান হাতের বেশির ভাগ গাড়ী চাকার সাথে পিষে গেছে যা আছে তার অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। সন্ধ্যায় ৭টার দিকে তাঁর একটি অপারেশন হবে।

মাহদির পিতা মামুন জানান স্কুলের ভ্রমনে তারা সাদা পাথর বেড়াতে এসেছিলেন। ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। 

কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় খবর পেয়েছি। আহতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।’


কেএ-০২/এএফ-০৬