বড়লেখায় চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, ব্যবসায়ী কারাগারে

বড়লেখা প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৪, ২০২০
০৩:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২০
০৩:৩২ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, ব্যবসায়ী কারাগারে

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জ্বালানী কাঠের দোকান থেকে খাদ্য কর্মসূচির চাল উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চাল উদ্ধারের ঘটনায় বড়লেখার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দীপক সূত্রধর বাদী হয়ে ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিন বিকেলে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো জব্দ করেছিলেন। ওই সময় দোকানদার প্রদীপ দাসকে পুলিশ আটক করে। তিনি উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মিহারী গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে ও ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ্র দাসের ভাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ শুক্রবার রাতে বলেন, চাল উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অতিদরিদ্রের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য বর্ণী ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলার আব্দুছ ছাত্তার গত ১০ মার্চ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেন। চালগুলো ২৪৯ জন হতদরিদ্রের মধ্যে ১৯ মার্চের মধ্যে জনপ্রতি ৩০ কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রির কথা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চালের ডিলারশিপ কাগজে-কলমে আব্দুছ ছাত্তারের নামে থাকলেও মূলত তা পরিচালনা করেন বর্ণী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদ্দিন। তিনি সিংহভাগ কার্ডধারী হতদরিদ্রদের মার্চ মাসের বরাদ্দের চাল না দিয়ে ফকির বাজারের জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের নিকট বেশিরভাগ চাল বিক্রি করে দেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৩২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। ওই সময় পুলিশ তাকে আটক করে।

আটক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের ভাই ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ দাস জানান, ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী নারীরা চালগুলো তার ভাইয়ের নিকট বিক্রি করেছেন। এ চাল ক্রয় করা যে বেআইনি তা তিনি জানতেন না।

কোন কোন নারী এই চাল বিক্রি করেছেন তা জানতে চাইলে তিনি কারও নাম বলতে পারেননি।