সুনামগঞ্জে ত্রাণ দিলো 'অসহায়ের পাশে আমরা'

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৩:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৩:০১ পূর্বাহ্ন



সুনামগঞ্জে ত্রাণ দিলো 'অসহায়ের পাশে আমরা'

'অসহায়ের পাশে আমরা'র উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর বাজার ও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার ৫১ জন শ্রমজীবী মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। এ নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলায় সর্বমোট ৩৩৬ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

তবে সংগঠনের নীতি অনুযায়ী ত্রাণ গ্রহিতার কোনো ছবি তোলা হয়নি। ত্রাণের জন্য তাদেরকে লাইনেও দাঁড় করানো হয়নি। স্থানীয় দোকনদারের কাছ থেকে নাম ও ফোন নম্বর বলে ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে এসেছেন তারা।

করোনাভাইরাসের এই অবরুদ্ধ সময়ে প্রথমবারের মতো কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সুবিধা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জয়নগর বাজারের ত্রাণ গ্রহিতারা।

করোনার পরিস্থিতিতে সৃষ্ট এই সংকটে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজনের দেওয়া অর্থে এই সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে 'অসহায়ের পাশে আমরা' নামের সংগঠনটি। এর সঙ্গে যুক্ত সবাই স্বেচ্ছাসেবী।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার জয়নগর বাজারে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন জয়নগর বাজার হাজী গণি বক্স উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিলু মিয়া ও বাণীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল হক। ত্রাণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সাংবাদিক শামস শামীম।

মঙ্গলবার সংগঠনের তহবিলে যাঁরা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তাঁরা হলেন- সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো. ফারুক আহমদ ২০০০ টাকা, জেলা খেলাঘর আসরের পক্ষ থেকে সভাপতি বিজন সেন রায় ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু আহমেদ ৩০০০ টাকা, সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার মজুমদার ২০০০ টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা মধু মিয়ার মেয়ে মমতা ইসলাম মম ১০০০ টাকা। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেন, অর্থ সহায়তা দিতে পারেন। অর্থ প্রদানের জন্য বিকাশ নম্বর ০১৭১৫-২৯৪৯৪৪।

সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়া: যে এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বা সহায়তা বিতরণ করা হয়, প্রথমে ওই এলাকার একাধিক দোকানির মুঠোফোন ও বিকাশ নম্বর নেওয়া হয়। এরপর যাদের সহায়তা দেওয়া হবে তাদের একেবারে কাছাকাছি কোনো দোকানে সংগঠনের একজন স্বেচ্ছাসেবী উপস্থিত থেকে তালিকা অনুযায়ী এসব পণ্য ক্রয় করেন। পরে দোকান থেকে সহায়তা গ্রহণকারী ব্যক্তিগণ নিজেরাই জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন। দোকানিকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়। সহায়তা বিতরণের সময় কোনো ছবি তোলা হয় না।

প্রয়োজনে যোগাযোগ: অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু (০১৭১৫-২৯৪৯৪৪), অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ (০১৭১৬-২৯৫৮৫০), সাংবাদিক পঙ্কজ কান্তি দে (০১৭১৮-৩৪৫৯৭৫), সাংবাদিক-আইনজীবী খলিল রহমান (০১৭১৫-৪০৯৫৫১), ক্রীড়া সংগঠক পারভেজ আহমেদ চৌধুরী (০১৭১১-৯৫৫১৮৯), সাংবাদিক বিজন সেন রায় (০১৭২৮-৩৭৫৯৯৬),  ক্রীড়া সংগঠক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী (০১৭১৫-০৪৫৯৫০), অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন (০১৭১৬-৪৬৬৯৬৬), শিক্ষক-সমাজকর্মী কানিজ সুলতানা (০১৭১২-২৫৮৮২৪), অ্যাডভোকেট নাজনীন বেগম (০১৬৭৭-৫৫০৬৩৭), অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ (০১৭২৬-৮৯৯৯২৯), অ্যাডভোকেট এস এম মাহবুবুল হাসান শাহীন (০১৭১৬-১০৭৯৭৪), সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (০১৭১২-৫৬৫৬১৪), লেখক-সাংবাদিক শামস শামীম (০১৭১২-৩২৯৯৯৭), সাংবাদিক-আইনজীবী এ আর জুয়েল (০১৭১৮-০৬০৯০৩), সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সমাজকর্মী মো. রাজু আহমেদ (০১৭০৬-৪০০৫৬৫)।