শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৪, ২০২০
১২:১৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২০
১২:১৯ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক দত্তক সন্তান। বিষয়টি নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা যুগ্ম-জজ দ্বিতীয় আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মামলার বাদী শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাধানগর সদর ইউনিয়নের বসিন্দা পবন কুমার পাল এর পক্ষে তার মামতো বোন জয়মতি প্রজাতি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার জন্মের বছরখানেকের মধ্যে তার মামা রামব্রীজ রুদ্রপাল তাকে তার পিতামাতার নিকট থেকে দত্তক গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে নিজ পুত্রের মতোই লালন-পালন ও ভরণ-পোষণ করে আসেন। রামব্রীজের পিতা ভক্ত কুমারের মৃত্যুর পরে তিনি মৌরসী সম্পত্তি হিসেবে শ্রীমঙ্গল থানাধীন বালিশিরা পাহার মৌজার নং ব্লকে জেএল নং ৭২, এসএ দাগ নং ২২৯, ২৩০, আরএসডিপি খতিয়ান ১১৯, আরএস ছাপা ১১৯, আরএস দাগ ১১৬ তে মোয়াজী ০.৩০ একর জমি বাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগদখল করে আসছিলেন। রামব্রীজ রুদ্রপালের মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী শিবদুলালী রুদ্রপাল, ছেলে গৌতম রুদ্রপাল, দত্তক ছেলে পবন কুমার পাল ও তিন কন্যাকে বিদ্যমান রেখে যান।
পবন কুমার পালের মামতো বোন জয়মতি প্রজাতি অভিযোগ করে বলেন, হিন্দুদের নিয়ম অনুসারে পিতার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, ছেলে ও দত্তক ছেলে সমান ভাগে পিতার সম্পত্তির অংশ পাওয়ার আইন থাকলেও পিতার মৃত্যুর পরে পবনের ভাই গৌতম রুদ্রপাল পবনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেন এবং এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে মিলে বহুতর ভূমি গৌতম রুদ্রপাল তার দুই কন্যা প্রিয়াংকা ও জয়ন্তীর নামে সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনিভাবে গোপনে দানপত্র দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে নেন।
উক্ত বিষয় মীমাংসার জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা যুগ্ম-জজ দ্বিতীয় আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা স্বত্ব নং- ০১/২০২০ ইং দায়ের করলে তা এখনও বিচারাধীন আছে বলে জানান পবন কুমার পাল।
এ বিষয়ে গৌতম রুদ্রপালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
