ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষকরা

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


এপ্রিল ১৮, ২০২০
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন



ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষকরা

করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট আর এর সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকরা জমিতে পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আজ শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার নলুয়ার হাওর ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শঙ্কার কথা জানা গেছে। 

কৃষকরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি কৃষকদের পাকা ধানের অনেক ক্ষতি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে কৃষকরা হাওরে গিয়ে দেখেন অনেক জমির পাকা ধান ঝরে গেছে। 

নলুয়ার হাওরে কথা হয় ভুরাখালি গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ে তার এক কেদার জমির পাকা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এক কেদার জমি কেটে তিনি মাত্র ৫ মণ ধান পেয়েছেন বলে জানান। তার মতে, কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল ঝরে না গেলে এক কেদার জমি থেকে ১০ মন ধান পেতেন।

হাওরের ভূরাখালি গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতের কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে হালকা শিলাবৃষ্টির কারণে কিছু জমির পাকা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে কৃষি শ্রমিক না আসায় তারা পাকা ফসল কাটতে পারছেন না।

হাওর বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাস জানান, হাওরের অধিকাংশ জমির ফসল পাকতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অন্য জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকরা না আসায় কৃষকরা পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত। এছাড়াও কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি কৃষকদের শঙ্কায় ফেলেছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিবছরের মতো এবার অন্য জেলার কৃষি শ্রমিক না আসায় পাকা ধান নিয়ে অনেক কৃষক দুশ্চিন্তায় আছেন। এছাড়াও কালবৈশাখী ঝড়, আগাম বন্যা, শিলাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চিন্তায় কৃষকরা চিন্তিত। বৃহস্পতিবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে যৎসামান্য ক্ষতি হয়েছে।

তিনি ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে ফেলতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

এএ/আরআর