ঝড়-বৃষ্টির বিপক্ষে লড়ছেন জগন্নাথপুরের কৃষকরা

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


এপ্রিল ১৯, ২০২০
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২০
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন



ঝড়-বৃষ্টির বিপক্ষে লড়ছেন জগন্নাথপুরের কৃষকরা

ঝড়, বৃষ্টি আর বজ্রপাত উপেক্ষা করে পাকা ধান কাটতে হাওরে লড়ছেন জগন্নাথপুরের কৃষকরা। গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টা পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণ বয়ে যায় উপজেলার ওপর দিয়ে। আজ দুপুরে নলুয়ার হাওরে শিপন মিয়া নামের এক রাখাল বজ্রপাতে মারা গেছেন। এছাড়াও বজ্রপাতে নুরুল হক নামে আরেক কৃষকের একটি গবাদি পশু ঝলসে গিয়ে মারা গেছে। 

কৃষকরা জানান, হাওরে পাকা ধানের শীষ দুলছে। ঝড়-বৃষ্টি ও অকাল বন্যার শঙ্কা রয়েছে তাদের মনে। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে অন্য জেলার শ্রমিক কম আসায় শ্রমিক সংকটে পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

নলুয়ার হাওরের বাউধরন গ্রামের কৃষক ছালিক মিয়া বলেন, হাওরের অধিকাংশ জমির ফসল পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে পাকা ধান নিয়ে আমরা দিশেহারা। 

বেতাউকা গ্রামের কৃষক সুহেল মিয়া বলেন, ধান কাটার শ্রমিক পেয়ে যাওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই আজ থেকে জমিতে ধান কাটা শুরু করেছি। বলা তো যায় না, কখন কি হয়!   

নলুয়া হাওর বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, অনেকেই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই ধান কাটছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কায় ফসলের মাঠে লড়ছেন কৃষকরা। 

হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকরা একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা বোরো ফসল ফলিয়েছেন। ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছেন না তারা। এর চেয়ে বড় দুশ্চিন্তা আর হতে পারে না।

তিনি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় এবার অন্য জেলার কৃষি শ্রমিক আসতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।

শ্রমিক সংকটে ধান কাটা কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা ত্রাণসামগ্রী দিয়ে শ্রমিকদেরকে ধান কাটতে মাঠে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

এএ/আরআর