কমলগঞ্জে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিচ্ছে পুলিশ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ২২, ২০২০
০২:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২০
০২:০১ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিচ্ছে পুলিশ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ফার্মেসি ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত শপিং মল, বিপণিবিতানসহ সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষজন ঘরে আটকা পড়েছেন। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষজন ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের দোকানীরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এই কর্মহীন অসহায়দের খুঁজে বের করে রাতের আঁধারে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় কর্মহীন ৫ শতাধিক পরিবারে রাতের আঁধারে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর এর নেতৃত্বে রয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান।

সরকারি খাদ্য সহায়তা, জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পুলিশি উদ্যোগে এটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পুলিশ আগে খুঁজে বের করে কারা কর্মহীন ও খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না। পরে এমন পরিবারের তালিকা তৈরি করে চাল, ডাল, আলু ও তেলসহ খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

গত ১৮ এপ্রিল কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে কর্মহীন সিএনজি অটোরিকশার চালক ও দরিদ্র ১৫ পরিবারেরর মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। পরে ২০ এপ্রিল রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আদমপুর ইউনয়িনের নঈনারপার বাজারে কর্মহীন ১৬ জন চা দোকানী ও ৭ জন সেলুনকর্মীর বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, পুলিশ নিজ উদ্যোগে তাদের এ কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন অনেক ব্যক্তিও পুলিশের কার্যক্রমে সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত কমলগঞ্জের  ৫১০টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এ দুর্যোগ থাকবে, ততদিন পর্যন্ত পুলিশ খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সবসময় থানার পিকআপে কিছু খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট রক্ষিত থাকে। রাস্তায় দরিদ্র, অসহায় ও ভিক্ষুক পেলে তখন তাদেরকে খাদ্যের প্যাকেট দেওয়া হয়।

 

এসডি/আরআর