বৃষ্টিতে চা-বাগানে সবুজের সমারোহ, এসেছে নতুন কুঁড়ি

কাজী গোলাম কিবরিয়া, শ্রীমঙ্গল


এপ্রিল ২২, ২০২০
১১:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২০
১১:২১ অপরাহ্ন



বৃষ্টিতে চা-বাগানে সবুজের সমারোহ, এসেছে নতুন কুঁড়ি

দীর্ঘ খরার পর অবশেষে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতে শ্রীমঙ্গলের সবুজ চা-বাগান প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তাপদাহ ও খরায় চা-বাগানের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টিপাতে সেই আশঙ্কা দূর হয়ে প্রাণ ফিরে পাওয়া চা-বাগানগুলো দু'টি পাতা একটি কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে। চারদিকে এখন সবুজের সমাহার। চা বিশ্লেষকেরা এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতকে চা-বাগানের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি সিদ্ধান্তে চা-বাগান চালু রাখা হয়েছে। তবে সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় শারীরিক দূরত্বসহ সরকারি সব নির্দেশনা মেনে চা-বাগানে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলছে। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত আর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চা-বাগান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার কেজি চা পাতা নষ্টের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

শ্রীমঙ্গলে গত ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচণ্ড খরার পর পরই বৃষ্টিপাতে চা-বাগানগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে। 

সরেজমিনে আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি চা-বাগান ঘুরে দেখা যায়, নারী চা শ্রমিকরা চা পাতা চয়ন করছেন। কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে বাবু, সর্দার আর চৌকিদারদের মধ্যেও। 

বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, টানা দুই-তিনদিনের বৃষ্টিতে চা গাছে নতুন কুঁড়ি এসেছে। ফলে এরই মধ্যে আমরা পাতা চয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি। 

চা-বাগান চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এই চা বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত চা-বাগান বন্ধ রেখেছে। আগামী মাসে খোলার কথা রয়েছে। আমরা এই সময়কে কাজে লাগাতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, চা-বাগান বন্ধ হলে অভাবনীয় ক্ষতির মুখে পড়ত চা শিল্প। এখনকার কুঁড়ি সময়মতো চয়ন করা না গেলে এই পাতা বুড়ো হয়ে নষ্ট হতো। আর নতুন কুঁড়ির জন্য ৪০-৪৩ দিন অপেক্ষা করতে হতো। এতে করে সার্বিক চা উৎপাদন প্রক্রিয়া কয়েকমাস পিছিয়ে যেত আর বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ত চা শিল্প।

তিনি জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চা-বাগানগুলোতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজের সময় সামাজিক দূরত্ব, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সরকারি সকল বিধিনিষেধ মেনে চলতে বাগানগুলোতে ওরিয়েন্টেশনসহ রোগ প্রতিরোধ উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

 

জিকে/আরআর