শ্রীমঙ্গলে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

কাজী গোলাম কিবরিয়া, শ্রীমঙ্গল


মে ২১, ২০২০
০৬:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২১, ২০২০
০৬:০৭ পূর্বাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মার্কেটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। যার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে গত ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার নির্দেশ দেয় সরকার। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো খুলেছে শ্রীমঙ্গলের শপিংমলগুলো। দোকানপাট খোলায় তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন নানা বয়সের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গত দুইদিন মার্কেটগুলোতে ঘুরে লক্ষ্য করা যায়, মুদি দোকান থেকে শুরু করে কসমেটিকস, জুতা, পোশাকসহ প্রতিটি দোকান ঘিরে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নানা বয়সী মানুষের ভিড় লেগে থাকছে প্রতিনিয়ত। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস নেই। কোথাও দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব। দোকানগুলোয় গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। 

এছাড়া সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার কথা থাকলেও অনেক দোকান এই সময়ের পরেও খোলা রাখা হচ্ছে। বেশিরভাগ মার্কেটে প্রবেশের সময় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই। অনেক মার্কেটের সামনে হাত ধোয়া ও স্প্রে করার ব্যবস্থা থাকলেও ভেতরের বাস্তবতা ভিন্ন। অবস্থা যেন বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট!

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা দোকানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। বিক্রয়কর্মীদের মাস্ক ও গ্লাভস দিয়েছি। কিন্তু ক্রেতাদের এসব নির্দেশনা মানানো যাচ্ছে না। আবার কোনো ক্রেতাকে কিছু বললে তিনি আর দোকানে আসবেন না। যার কারণে আমাদের বলতেও পারছি না। প্রথম প্রথম সামাজিক দূরত্ব ঠিক না থাকলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।

ক্রেতারা জানান, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের জন্য কাপড়-চোপড় কিনতে তারা বাজারে এসেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও দোকান মালিক যারা আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি কেউ তা না মানেন, তাহলে আইন প্রয়োগ করা হবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

 

জিকে/আরআর-২০