খেলা ডেস্ক

জুন ০১, ২০২০
০৫:২৪ অপরাহ্ন

আপডেট : জুন ০১, ২০২০
০৫:২৪ অপরাহ্ন

মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পরে কোনও মন্ত্রবলে রাতারাতি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব পাননি বিরাট কোহলি। এই গুরুদায়িত্ব পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ধোনিকে কাছ থেকে দেখা, শিক্ষাগ্রহণ এবং আস্থা অর্জনের মতো ব্যাপার। সতীর্থ আর অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে এ কথাই বললেন বর্তমান ভারত অধিনায়ক।
একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পত্রিকার বিচারে সম্প্রতি বিশ্বের সর্বাধিক উপার্জনকারী ১০০ জন ক্রীড়াবিদের মধ্যে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন কোহালি। শনিবার সতীর্থ অশ্বিনের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে তার অধিনায়ক হিসেবে উত্তরণের কারণ হিসেবে বিরাট তুলে ধরেন টানা ছ-সাত বছর খুব কাছ থেকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিহ ধোনিকে পর্যবেক্ষণ করার কথা। এ ছাড়াও, দায়িত্ব পেয়ে তা সফল ভাবে সামলানোর ব্যাপারটিও  এ ক্ষেত্রে তাঁকে নেতৃত্ব পেতে সাহায্য করেছে বলে মত বিরাটের।
কোহলি বলেন ‘ ধোনির খুব কাছে থাকতে পারাটাই অধিনায়ক হিসেবে উত্তরণের বড় কারণ। এর ফলে অনেক কিছু শিখেছি। যা চোখে পড়েছিল অনেকেরই। ব্যাপারটা এ রকম নয় যে ধোনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরে নির্বাচকেরা বলে দিলেন, এ বার তুমি অধিনায়ক।’
পাশাপাশি, প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে ধোনির মগজাস্ত্রের প্রয়োগ শেখার ব্যাপারটিও উল্লেখ করছেন বিরাট। বলেছেন, ‘উত্তরণের ব্যাপারটি ভালভাবে ঘটতে শুরু করে যখন প্রথম স্লিপে দাঁড়াতে শুরু করলাম। ফলে খেলার মাঝে অধিনায়কের সঙ্গে মত বিনিময়ের দরজাটা খুলে গিয়েছিল। তখন আগের অধিনায়কের কানের কাছেই থাকতাম আমি।’ আরও বলেন, ‘অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়ে আমি বলেই যেতাম, এটা করতে পারতে, ওটা করতে পারতে। কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবছি, এসব। কিছু মত বাতিল হত। কিন্তু অনেক বিষয়ই আলোচনা হত। ফলে আমার প্রতি ধোনির আস্থাটা তৈরি হয়েছিল যে, ওর পরে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে পারব।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে ঢাকার মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের ইনিংসকেই উল্লেখ করেছেন বিরাট। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান। ২০১২ এশিয়া কাপের স্মৃতি উস্কে বিরাট বলেন, ‘পাকিস্তান খুব শক্তিশালী ছিল। ৩৩০ রান তাড়া করতে হত আমাদের। আফ্রিদি, সৈয়দ আজমাল, উমর গুলের মতো বোলারের বিরুদ্ধে। সেই ইনিংস প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।’

এএন/০৫