দেশে ১০ দিনে আক্রান্ত ৩০ হাজার

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৫, ২০২০
০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৫, ২০২০
০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন



দেশে ১০ দিনে আক্রান্ত ৩০ হাজার

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতই বেড়ে চলছে। গত ১০ দিনের হিসাবে দেখা গেছে, এই সময়ে অতি ছোঁয়াচে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রবিবার (১৪ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৫২০ জন। গত ৪ জুন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। ১০ দিনের ব্যবধানে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৫৭ জন। এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিনহাজার জন করে  আক্রান্ত হচ্ছেন।

এই সময়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রবিবার আরও ৩২ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ আশঙ্কা করছেন, দেশে সংক্রমণের যে উর্ধ্বগতি চলছে এবং যেভাবে জনগণের মধ্যে এখনো যথেষ্ট সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে তাতে আমাদের জন্য একটা ভয়ানক পরিণতি এগিয়ে আসছে। তাই এখনই অধিক সংক্রমিত এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ লক্ডাউন কার্যকর করা দরকার। এরকমটিই  পরামর্শ দিয়েছেন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ।

এদিকে, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যার সংকট আর অক্সিজেনের তীব্র সংকট নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারে নিয়ে টানাটানি চলছে: চলছে নকল অক্সিজেনের ব্যবসা। অন্যদিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না নিলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এএনএম মিনহাজুর রহমান।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করার বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এখনও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ‘করোনামুক্ত’ সার্টিফিকেট না থাকলে অন্যান্য জরুরি রোগীদেরও ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।

জেএসএস-০১/এনপি-০৬