পিসিআর পরীক্ষাতেও জাফরুল্লাহর ‘করোনাভাইরাস নেগেটিভ’

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৬, ২০২০
০২:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৬, ২০২০
০২:২৮ পূর্বাহ্ন



পিসিআর পরীক্ষাতেও জাফরুল্লাহর ‘করোনাভাইরাস নেগেটিভ’

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ‘আরটি-পিসিআর’ পরীক্ষার ফলাফলেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে জানিয়েছেন ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক মামুন মুস্তাফি।

সোমবার (১৫ জুন) তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখন ‘করোনাভাইরাস মুক্ত’, তবে আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন, তাদের তৈরি করা র‌্যাপিড কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষায় গত শনিবার জাফরুল্লাহর করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ আসে।

অবশ্য ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ওই র‌্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পরীক্ষার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রটোকল অনুযায়ী কারও কোভিড-১৯ ধরা পড়লে উপসর্গ কমে এলে পর পর দুটি পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলে তখন তার শরীরে আর ‘ভাইরাসের সংক্রমণ নেই’ বলে ধরে নেওয়া হয়।

এখন আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও জাফরুল্লাহর নমুনায় করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে জানান ডা. মুস্তাফি।

গত ২৫ মে র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটে নিজের নমুনা পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ ফল আসার কথা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে বিএসএমএমইউতে তার আরটি-পিসিআর টেস্টেও পজিটিভ আসে তার।

আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু ক্রনিক কিডনি রোগী বলে তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সেজন্য পরে তাকে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি তিন দফা প্লাজমা থেরাপিও নেন।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল’, তিনি ‘অনেকটা সুস্থ’ হয়ে উঠছেন।

বিএ-১৬