দেশে মৃত্যু ছাড়াল দেড় হাজার, শনাক্ত ৩৪৮০

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ২২, ২০২০
০৮:৩৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২২, ২০২০
০৯:৩৯ অপরাহ্ন



দেশে মৃত্যু ছাড়াল দেড় হাজার, শনাক্ত ৩৪৮০

একদিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে এ সংখ্যা এখন ১ হাজার ৫০২।

সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪৮০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন।

আজ সোমবার (২২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে ৬২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৫৫ টি। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি। 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। তাদের ২৫ জন হাসপাতালে, ১২ জন বাড়িতে মারা গেছেন। একজন রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

তাদের ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এই ৩৮ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৩ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ৫৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৬১৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৪৬৭ জন রোগী।

বিএ-১২