নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৩, ২০২০
০৮:৩৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২০
১১:৫৩ অপরাহ্ন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৪১২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১৯৮ জন।
এই সময়ে দেশে একদিনে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫৪৫ জন।
এছাড়া এই সময়ে আরও ৮৮০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুর আড়াইটায় দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়ায় ২২ জুন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১২ জন বাড়িতে মারা যান; একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২টি পরীক্ষাগারে ১৬ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৪৩ জনের মধ্যে দুইজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২টি পরীক্ষাগারে ১৬ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৬৮০ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৯২৭ জন রোগী।
বিএ-১৫