সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২৫, ২০২০
০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৫, ২০২০
০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে যাওয়ায় বেশিরভাগ দেশের ফ্লাইটের বাংলাদেশে প্রবেশ স্থগিত করা হয়েছিলো। যদিও প্রায় তিনমাসের কাছাকাছি সময় এই স্থগিতাদেশ জারি থাকার পর সীমিত আকারে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ, প্রতি রবিবার তাদের ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটের ফ্লাইটটি চালু করেছে।
এবার বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইটগুলো চলাচল আবারও শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
রাষ্টীয়ভাবে পরিচালিত
কাতার এয়ারওয়েজ কেবল ট্রানজিট নেওয়া যাত্রীদের জন্য তাদের দোহা-ঢাকা-দোহা রুটের ফ্লাইট চালু করেছে। এসব যাত্রীর গন্তব্য মূলত বাংলাদেশ নয়, অন্যকোথাও হয়ে থাকে। কাতার এয়ারওয়েজ তাদের এই ফ্লাইটটি বর্তমানে সপ্তাহে তিনদিন পরিচালনা করছে।
২৪ জুন থেকে সপ্তাহে তিনদিন তাদের দুবাই-ঢাকা-দুবাই রুটের ফ্লাইট চালু করেছে এমিরেটস ।
টার্কিশ এয়ারলাইন্স আগামী ২ জুলাই থেকে ইস্তানবুল-ঢাকা রুটের ফ্লাইটটি চালু করার কথা জানিয়েছে।
আগামী ১ আগস্ট থেকে থাই এয়ারওয়েজ সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট চালু করার কথা ভাবছে।
উল্লেখিত ফ্লাইটগুলা ছাড়াও, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স-সহ ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ আন্তর্জাতিক রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।
এছাড়া এয়ার এরাবিয়া, ফ্লাইদুবাই, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ও মালিন্দো এয়ার এই মুহূর্তে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে ধীরেধীরে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল করতে শুরু হলেও, সম্প্রতি জাপান বাংলাদেশের ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। একইসাথে, দক্ষিণ কোরিয়াতেও বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটার পর থেকেই মূলত দেশ দুটি থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে।
জেএসএস/এনপি-২৮