প্লাবিত তাহিরপুরের দুই শতাধিক গ্রাম, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

আবির হাসান, তাহিরপুর


জুন ২৭, ২০২০
১১:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৭, ২০২০
১১:৩২ অপরাহ্ন



প্লাবিত তাহিরপুরের দুই শতাধিক গ্রাম, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত তিনদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ৭টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদী, হাওর-বাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার সঙ্গে ৭টি ইউনিয়নের আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে যাদুকাটা, পাঠলাই, বৌলাই ও রক্তি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িসহ হাটবাজারগুলোতে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর পূর্বাংশের এপ্রোচ নির্মাণাধীন সড়কটি ৩ ফুট পানির নীচে থাকায় জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার অনেক পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। আর গত তিনদিনেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন কারখানার মালিকসহ সাধারণ লোকজন।

বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা হোসেন রাজা বলেন, আমার কৃষি জমি ও বাগানে পানি প্রবেশ করায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের অনেক মাছ ভেসে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের আংশিক ও বাকি ৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

 

এএইচ/আরআর-০৪