সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ২৮, ২০২০
০৭:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৮, ২০২০
০৭:০৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে জরুরি ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়ায় পানি প্রবেশ করেছে। প্রায় ৩ শতাধিক বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার্তদের স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যাবিধি মেনে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। এসব তথ্য নশ্চিতি করছেনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭০ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৩ মিলিমিটার। তাছাড়া পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় ভাটির জনপদ হাওরাঞ্চলে পানির চাপ আরো বাড়ছে। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে।
জেলা শহরের কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, সাহেববাড়ি, পশ্চিম বাজার, মধ্যবাজার, তেঘরিয়া, উকিলপাড়া, আরপিননগর, জামাইপাড়া, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। শহরের ড্রেনেজে ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় শহরের পানিও সরছেনা। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে। এদিকে পৌর শহরের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তাদেরকে ত্রাণ সহায়তাসহ স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদানের কথাও জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর, জামালগঞ্জ-মদনপুর সড়ক, দোয়ারা সুনামগঞ্জসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানি বাড়ছে। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা জরুরি সভা করে ৪১০ মে.টন চাল ও ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসএস/বিএ-০৮