দোয়ারাবাজারে ফের বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


জুলাই ১১, ২০২০
১০:১৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১১, ২০২০
১০:১৪ অপরাহ্ন



দোয়ারাবাজারে ফের বন্যায় পানিবন্দি লাখো মানুষ

গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৯টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ। দুই দফা বন্যায় মাঠ-ঘাট, হাওর-বাওর, জল-স্থল একাকার হয়ে পড়ায় গবাদি পশুসহ সর্বক্ষেত্রেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বানভাসি মানুষজন। অধিকাংশ টিউবওয়েল পানিতে নিমজ্জিত হওয়াসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পেটের পীড়া ও চর্মরোগসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বানভাসি এলাকায়। এদিকে পরপর দুই দফা বন্যায় সবক’টি সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সকল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উঠতি আউশ, আমনের বীজতলা, সবজি ক্ষেত ও মাছের খামারগুলো প্রথম দফা বন্যায় বিনষ্ট হওয়ায় কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে হাজারও পরিবার। তবুও হাল ছাড়েনি কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। বুকভরা আশা নিয়ে ভেসে যাওয়া পুকুরগুলোতে আবারও মাছের পোনা ছাড়েন খামারিরা, বিনষ্ট হওয়া বীজতলায় তড়িঘড়ি করে আবারও বীজ বুনেন কৃষকরা। কিন্তু বিধি বাম! দ্বিতীয় দফা বন্যায় সবকিছু আবারও ভেস্তে যাওয়ায় বিশেষত চড়া সুদে ঋণ গ্রহিতারা এখন চোখে সর্ষেফুল দেখছেন।

শনিবার (১১ জুলাই) এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সুরমাসহ উপজেলার সকল নদ-নদী, হাওর, খাল-বিলের পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ এলাকার বাড়িঘরে এখন হাঁটু ও কোমর পানি। অনেক পরিবারের উঁনুনে হাঁড়ি বসছে না। ঢলের তোড়ে অনেক কাঁচা ঘর ধসে গিয়ে পানিতে ভেসে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, 'বন্যা মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ বানভাসিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে ফের বন্যা শুরু হলো। এবারের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তবে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ত্রাণ বিতরণসহ আমাদের সকল তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তালিকা প্রণয়ণের জন্য আবারও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

 

এইচএইচ/আরআর-১০