খেলা ডেস্ক

জুলাই ২৪, ২০২০
১২:৩০ পূর্বাহ্ন

আপডেট : জুলাই ২৪, ২০২০
১২:৩০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি প্রতি বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির কাছ প্রায় হাজার কোটি টাকা আয় করে থাকে। এই জন্য বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সব ফেডারেশনের চেয়ে ধনী ফেডারেশন হিসেবে পরিচিত লাব করেছে। বিসিবি তাদের নিজস্ব ব্যয় মিটিয়ে দেশের অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনকে প্রায় সময় আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বিসিবির নিজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে টিম স্পন্সর, সিরিজ স্পন্সর, টিভি স্বত্ব, মাঠে বিজ্ঞাপন। তবে সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে পাওয়া লভ্যাংশের ভাগ।আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশগুলো এই আয়ের শতকরা ৮৬ ভাগ অর্থ পায়। সহযোগী সদস্য দেশগুলো পায় বাকি শতকরা ১৪ ভাগ। তবে পূর্ণ সব সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশের কারণে আয়ের যোগান বেশি হয় তাদের ভাগের পরিমাণটাও বেশি। এই তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। মূলত আইসিসি’র আয়ের প্রধান উৎসও টিভি স্বত্ব। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি তাদের টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছে স্টার ইন্ডিয়ার কাছে। এই টিভি স্বত্ব থেকে পাওয়া আয়ের অর্থই আইসিসি ভাগ করে দেয়। যার শতকরা ২২.৮ ভাগ পায় ভারত ।আইসিসি’র মোট আয়ের শতকরা ৭.২ ভাগ পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার আর্থিক মূল্য ১২৮ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা (১ ডলার = ৮৫ টাকা ধরে )। আইসিসি’র বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পরে এই খাত থেকে টাকা পায় বিসিবি।এবার এই খাত থেকে চলতি বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তহবিলেও এই পরিমাণ অর্থ জমা পড়বে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। আইসিসি’র এই আয়ের ভাগ অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ সমানভাবে পায়। জিম্বাবুয়ে পায় সবচেয়ে কম; ৫.৩ ভাগ। ডলারের হিসাবে যার পরিমাণ ৯৪ মিলিয়ন। আইসিসি’র আয়ের  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পায় ইংল্যান্ড ৭.৮ ভাগ। ভারত এই আট বছরে আইসিসি’র কাছ থেকে পাবে ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। 

এএন/০৯