শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


আগস্ট ০৯, ২০২০
০৯:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৯, ২০২০
০৯:৩৬ অপরাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীকে 'গলা কেটে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যার' খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৌলাছড়া চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটেছে। 

স্বামীর নাম বিকুল তন্ত বায় (৪০) ও স্ত্রীর নাম অলকা তন্ত বায় (৩৫) বলে জানা গেছে। পুলিশ লাশ দু'টি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার জের ধরে রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। পরে তিনি নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তাদের বড় মেয়ে শোভা তন্ত বায় (১২) জানায়, রাতে সে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। আজ রবিবার (৯ আগস্ট) সকালে ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার ঘরে বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে সে মায়ের গলাকাটা দেহ ও পাশে বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।

শোভা জানায়, তার বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। শোভার দেবা তন্ত রায় নামে ৬ বছরের এক ভাই ও দেবী তন্ত রায় নামে ২ বছরের এক বোন রয়েছে। বাবা-মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই ৩ শিশু শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে।

বিকুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রত্না তন্ত বায় (৪২) জানান, সকালে শোভার চিৎকার শুনে গিয়ে মেঝেতে অলকার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। পাশেই ঝুলে থাকতে দেখেন দেবরের লাশ। অলকা ও বিকুলের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ছিল না বলে জানান তিনি।

এদিকে এটি স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড- এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জিত সাঁওতাল জানান, অলকা মির্জাপুর চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন আর বিকুল বন থেকে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বিকুল-অলকার মধ্যে কোনো কলহের কথা তিনি জানতেন না।

তিনি জানান, কোনো ঝগড়া-বিবাদ হলে পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক হিসেবে তার কাছে নালিশ আসত। কিন্তু এ নিয়ে কেউ তাকে কিছু বলেনি। 

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জোড়া লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

 

জিকে/আরআর-০৫