তাহিরপুরে প্রায় কোটি টাকা 'হাতিয়ে নিয়ে উধাও' ব্যবসায়ী

তাহিরপুর, প্রতিনিধি


আগস্ট ২০, ২০২০
০৬:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২০, ২০২০
০৭:৩৭ অপরাহ্ন



তাহিরপুরে প্রায় কোটি টাকা 'হাতিয়ে নিয়ে উধাও' ব্যবসায়ী

মো. তৌফিক মিয়া

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে থাকার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা কাচা মিয়ার ছেলে মো. তৌফিক মিয়া (৩০)। 

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বাদাঘাট বাজারের সোনিয়া ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী মো. আসাদ মিয়া।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে দীর্ঘদিন যাবত মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন তৌফিক স্টোরের মালিক মো. তৌফিক মিয়া। এর সুবাদে বাজারের প্রতি ২০ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে কয়েকটি গ্রুপ করে প্রতিদিন জনপ্রতি ৫০০ টাকা হারে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জমা নিতেন তিনি। পরবর্তীতে ১০ দিন পর পর লটারির মাধ্যমে প্রতি গ্রুপের একজনকে বিজয়ী করে সমুদয় টাকা প্রদান করা হতো। পরবর্তীতে বিজয়ী ব্যবসায়ী বিনাসুদে সমুদয় টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করতেন। এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক সদস্য তার জমানো টাকা ফেরত পেতেন। প্রতি গ্রুপের জমানো টাকার বিপরীতে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে বাজারের আসাদ মিয়ার ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকাসহ আরও ২৫/২৬ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক দফায় মোট ৯৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ১৩ আগস্ট থেকে উধাও রয়েছেন তৌফিক।  

গত এক সপ্তাহ ধরে পাওনাদাররা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তৌফিকের সন্ধান না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর থানায় তৌফিক, তার সহোদর শামিম আল মামুন (২৬) ও তাদের পিতা কাচা মিয়াকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম হায়দার বলেন, 'আসাদ মিয়াসহ প্রতারণার শিকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করলে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।'

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত তৌফিক মিয়ার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে নম্বর দু'টি বন্ধ পাওয়া যায়।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এএইচ/আরআর-০১