দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
আগস্ট ২৪, ২০২০
১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২০
১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল আমার উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে ফেসবুক ও অনলাইনে একাধিক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আজ রবিবার (২৩ আগস্ট) দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করছে একটি মহল। আমার কোনো গুন্ডাবাহিনী নেই, আমার এলাকায় এ ধরণের কোনো প্রমানাদি নেই। আমি চেয়ারম্যান থাকার পূর্বে ও বর্তমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন কারও ওপর মামলা, হামলা ও অনিয়ম করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্য কমিটি করে উপকারভোগী ভিক্ষুকদের মাঝে উপজেলা পরিষদের সামনে ছাগল ও ভেড়া বিতরণ করেন। এতে চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। শুধু তাই নয়, আমার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি না কি মৃত ও প্রবাসী লোক দ্বারা মাটির কাজ করিয়েছি। মৃত লোক হিসেবে উল্লেখ নাম করা নাম নুর মিয়া, গ্রাম দেওয়ান নগর। সে জীবিত আছে এবং এখনও মাটির কাজ করে। যাকে প্রবাসী উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম হাবিবুর রহমান, পিতা আমির আলী, গ্রাম দেওয়ান নগর। সে একজন দিনমজুর। সে তার জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মাটি কাটার কাজ ও কৃষিকাজ করে থাকে। যাকে পাগল উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম আব্দুল গণি, পিতা মৃত আলকাছ আলী, গ্রাম বাদে গুরেশপুর। সে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং কাজ করে। কুচক্রিরা উল্লেখ করেছে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী আছে, তারা ভয়-ভীতি ও মামলা-হামলার ভয় দেখায়। কিন্তু এমন কিছু আমার ও আমার পরিষদের কারও নেই। এসব কথা মিথ্যা ও বানোয়াট।
চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু বলেন, তাদের অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে জয়নাল আবেদীন, অদুদ মিয়া, মছদ মিয়া, প্রবাসী কামরান আব্দুল হাই ও আব্দুল গণিকে তাদের নিজ গ্রামের পঞ্চায়েত ও আত্মীয়-স্বজন মিলে সমাজচ্যুত করেছে। অথচ গ্রাম পঞ্চায়েতগণ জয়নাল আবেদীনকে গুরেশপুর বায়তুল আমান পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করেছিলেন। ১ বছর ১০ মাস দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মসজিদ কমিটি ও তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারেন মসজিদের ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা মোতাওয়াল্লি হিসাবে জয়নালের কাছে রক্ষিত ছিল। মসজিদের ক্যাশের টাকা জয়নাল আবেদীন তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য সুদে লগ্নি খাটান। খবর প্রকাশ হওয়ার পর মসজিদ কমিটি মসজিদের টাকা পঞ্চায়েতের ফেরত চাইলে ও মোতাওয়াল্লি পদ ছাড়ার প্রস্তাব দিলে তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পঞ্চায়েতগণ জয়নাল আবেদীনের আপন চাচাতো ভাই ও আব্দুল হাই কামরানের মামাতো ভাই আহাদ আলীকে মসজিদের নতুন মোতাওয়াল্লি হিসেবে নিযুক্ত করেন। জয়নাল আবেদীন মসজিদের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় নবনিযুক্ত মোতাওয়াল্লি ও পঞ্চায়েতপক্ষ জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোয়ারাবাজার থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেমের মধ্যস্থতায় জয়নাল আবেদীন মসজিদের ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা মসজিদ কমিটি বরাবরে ফেরত দেন। জয়নাল আবেদীন লোভী, সুদখোর ও দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত হওয়ায় তার সহযোগী হিসেবে আরও ৫ জনকে তার নিজ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকেরা ঘৃণার চোখে দেখে। এখানেও চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
তিনি বলেন, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা জন্য হীন মন-মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমি ও আমার পরিষদের সকল সদস্য এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এইচএইচ/আরআর-০৪