মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

বড়লেখা প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
০১:২২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
০১:২২ পূর্বাহ্ন



মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

এমনিতেই আব্দুস সালামের অভাবের সংসার। ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি করে কোনোমতে চলছিল তাঁর সংসারের চাকা। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের কারণে সালামের ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি বন্ধ ছিল অনেকদিন। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে কোনোমতে দিন চলছিল সালামের। কিন্তু এখন হঠাৎ করেই সালামের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ তার ছোট মেয়ে ছাদিয়া আক্তারের (১৫) হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছাদিয়াকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু যেখানে দু'বেলা দু'মুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই কঠিন, সেখানে মেয়েকে বাঁচাতে ৬ লাখ টাকা কোথায় পাবেন আব্দুস সালাম? এ অবস্থায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। অর্থের অভাবে তিনি মেয়েকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারছেন না। তাই মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন সালাম।  

জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার পানিধার এলাকার বাসিন্দা ঝালমুড়ি-আচার বিক্রেতা আব্দুস সালামের মেয়ে নারীশিক্ষা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছাদিয়া আক্তার সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, ছাদিয়ার হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু দরিদ্র সালামের পক্ষে ৬ লাখ টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।

আব্দুস সালাম বলেন, 'আমার অভাবের সংসার। ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি করে কোনোমতে পরিবার চলছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এখন তাও বন্ধ রয়েছে। আয়-রোজগার নেই। কোনোমতে খেয়ে-পরে বেঁচে আাছি। এই অভাবের মধ্যেই আমার মেয়ের হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলেছেন, আমার মেয়েকে বাঁচাতে ৬ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু আমি এত টাকা কোথায় পাবো? সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো আমার মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারব।'

ছাদিয়া আক্তারের চিকিৎসায় কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৮১১-১০৬৯৭২ (বিকাশ) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

 

এজে/আরআর-১০