দুর্ভোগের অপর নাম যেন পিটারগঞ্জ সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১১:২৭ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১১:২৭ অপরাহ্ন



দুর্ভোগের অপর নাম যেন পিটারগঞ্জ সড়ক

সিলেট শহরতলীর বাদাঘাট ব্রিজ পার হয়ে নামলেই বা দিয়ে অনেকটা ইউ টার্ণ নিয়ে চলে গেছে পিটারগঞ্জ সড়ক। সড়ক বললে হয়তো ভুল বলা-ই হবে। কারণ এখন সড়কের যা অবশিষ্ট তাতে ইট আর ছোটবড় গর্ত দেখে আঁচ করা কঠিন একসময় এটি পিচ ঢালা সড়ক ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভেঙ্গে বেহাল দশা হওয়া সড়কটি স্থানীয়দের কাছে এক দুর্ভোগের নাম যেন। সড়ক সংষ্কারের দাবি বার বার জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের শিবের বাজারের এই সড়কটির বেহাল চিত্র দেখা গেছে। বাদাঘাট সেতুর থেকে সড়কটি কালারুখা, বানপুর, শিবপুর হয়ে ছাতকের দিকে চলে গেছে। সড়কের পিটারগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটাই ভেঙ্গে গেছে। এবড়ো থেবড়ো সড়কজুড়ে ছোট বড় গর্ত। কোথাও কোথাও অবস্থা এত খারাপ শুধু মাটি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। বিশেষ করে বাদাঘাট সড়কের গোড়া থেকে বেশ কিছু অংশের অবস্থা বেশি নাজুক। তবে বাজার পর্যন্ত সড়কের কিছু কিছু অংশে ভাঙ্গা অবস্থায় টিকে থাকা বিটুমিনের সড়ক বলে দেয়, এক সময় সড়কটি পিচঢালা ছিল।

বেহাল সড়কে প্রতিদিন দুর্ভোগকে সঙ্গি করে চলাচল করতে হয় জনসাধারণকে। ছবি- সিলেট মিরর

 

স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থী আবু বক্কর অভিযোগ করে বললেন, ‘সারা দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে অথচ আমাদের এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা পড়ে আছে। এই সড়ক দিয়ে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চলাচল খুবই কষ্টকর। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ধুলো আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদাপানি মাড়িয়ে আমাদের শহরে যেতে হয়।’ স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মাখন মিয়া সিলেট মিররকে বলেন, ‘কতদিন আগে সড়ক ভেঙ্গে এই অবস্থা হয়েছে ঠিক মনে নেই। তবে দুই বছর তো হবেই।’ স্থানীয়ভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে এলাকার লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছেন সড়ক সংস্থারের দাবি নিয়ে। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনফর আলী সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলাম। মাসখানেক আগে মুক্তি পেয়েছি। যে কারণে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’ সড়কের বেহাল দশার জন্য তিনি বালু বহনকারী ট্রাককে দায়ি করে বলেন, ‘গত ২০১৬ সালে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দুই দফা এই সড়কের সংস্কার কাজ করেছি। কিন্তু নদী থেকে উত্তোলন করা বালু বহনকারী ট্রাক নিয়মিত চলাচল করায় এ সড়ক দ্রুত ভেঙ্গে যায়।’ তবে পরবর্তী মাসিক সভায় তিনি এ বিষয়টি তুলবেন বলে সিলেট মিররকে জানান।

 

এএফ/০১