ছাতক প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর উপরে সুরমা সেতুর এপ্রোচ সড়ক ও অত্যাধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পিকার সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, অভিমান করা ভূমি মালিকরা তাদের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সুরমা সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা রইল না। সুরমা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তর সুরমার মানুষের মাঝে এক অভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, একসময় বৃহত্তর ছাতক অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে পায়ে এবং বর্ষায় নায়ে যাতায়াত করত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশের ন্যায় এ অঞ্চলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের মূল ভীত রচিত হয়। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সুরমা সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুরমা সেতু নির্মাণে অপরিকল্পিত একটি অংশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সুরমা নদীর নাব্যতা ও উচ্চতা বিবেচনায় আনা হয়নি। ওই অপরিকল্পিত প্রকল্পে সেতু নির্মাণ করা হলে নৌপথে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যেত। বর্তমানে প্রকৌশলগত পরিবর্তন এনে সুরমা সেতুর কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুরমার উত্তরপাড়ে শিগগির আরও একটি সিমেন্ট কারখানা নির্মিত হতে যাচ্ছে। এ সিমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে সৌদি আরবের আল রাজি কোম্পানি বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি বিশাল অর্থনৈতিক জোন। এ দু'টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের কিবরিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ছাতক সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সাংসদ মানিক আরও বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি'র পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জবাসীর জন্য বৃহৎ দু'টি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। সুনামগঞ্জ থেকে হাওর অঞ্চল দিয়ে ধর্মপাশার জয়শ্রী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের সঙ্গে নেত্রকোনা হয়ে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপন এবং ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত করা। এ দু'টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ হবে প্রাচ্যের প্যারিস।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুহেল মাহমুদ, সওজ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ছাতক উপজেলার চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দোয়ারাবাজার উপজেলার চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রহিম, ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির, নারী ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, দোয়ারাবাজার উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাতক থানার ওসি আহমেদ মনজুর মোরশেদ শাহীন, ছাতক সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফার, অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তার (ভারপ্রাপ্ত), অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদ, প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাহিদ আলী, চান মিয়া চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাস্টার, গয়াছ আহমদ, অদুদ আলম, সায়েস্তা মিয়া, বিল্লাল আহমদ, আখলাকুর রহামান, মুজাহিদ আলী, কাজী আনোয়ার মিয়া, আমিরুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সুন্দর আলী, আব্দুল খালিক, ফজর উদ্দিন, আফজাল আবেদীন আবুল, মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন লালা, শুকুর আলী, শিক্ষক মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুল, এডভোকেট সামছুর রহমান, আফতাব উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল, মাফিজ আলী, দবিরুল ইসলাম, জামাল মিয়া, সামছু মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মুহিবুর রহমান টুনু, আলাউদ্দিন, বাবুল রায়, ছাব্বির আহমদ, আওলাদ আলী মাস্টার, হুমায়ুন কবির লাকি, নাজমুল হোসেন, কৃপেশ চন্দ, সহিদুল ইসলাম, সুমন চৌধুরী, ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া, আব্দুস ছালাম, আব্দুল মালিকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক সুরমা সেতুর এপ্রোচ সড়ক ও অত্যাধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
এমএ/আরআর-১২