সিলেট মিরর ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রীকে প্রোটিয়া বোর্ডের প্রশাসনিক কাজে জড়িত থাকতে বলা হয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হবার পর সংকটটি আরো জটিল হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস কনফেডারেশন এন্ড অলিম্পিক কমিটি (স্যাসোক) লিখিত পত্রের মাধ্যমে ক্রীড়ামন্ত্রী নাথি ম্যাথেথাকে জানিয়েছে যে, ক্রিকেটের বিষয়গুলো নিয়ে তদন্তের চেষ্টা করতে গিয়ে তাদেরকে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) কঠিন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে।

চিঠিতে সিএসএর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা এবং নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে খেলাটির গৌরব ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়। নতুন করে এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) সিএসএর সদস্যপদ হারানোর শংকা দেখা দিয়েছে। কারণ আইসিসির সংবিধানে সদস্য দেশগুলোর কমিটিতে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিধান রয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের মহামারির কারণে লজিস্টিক সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে নির্ধারিত ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণার একদিন পর নতুন এই ঘটনাটির উদ্ভব হল।

সাধারণত বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করে এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারিত হয়। সিএসএ এখনো পর্যন্ত ২০২০/২১ মৌসুমের জন্য কোনো ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক সূচি ঘোষণা করেনি। অথচ সচরাচর অক্টোবরে শুরু হয়ে যায় আফ্রিকান ক্রিকেটের মৌসুম। নিয়ন্ত্রক সংস্থার একমাত্র প্রতিবন্ধকতা ছিল কোভিড-১৯। দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজাত ক্রীড়া ফেডারেশনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে স্যাসোক। সংস্থাটি এই মাসের শুরুতে ঘোষণা দিয়েছে যে, সিএসএর আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তারা তদন্ত করতে চায়।

এর মুল বিষয় ছিল আট মাসের তদন্ত শেষে যে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাহী থাবাং মোড়োর বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে সে রিপোর্টটি আরো যাচাই বাছাই করা। কিন্তু এর চরম বিরোধিতা করে সিএসএ। স্যাসোক মনে করে শুধুমাত্র মোড়োকে উদ্দেশ্য করে এই রিপোর্টটি প্রণীত হয়েছে। বর্তমানে সিএসএর কোন সভাপতি ও স্থায়ী কোনো প্রধান নির্বাহী নেই। চলতি মাসের শুরুতে যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল সেটিও অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়েছে। এই ঘটনায় পৃষ্ঠপোষকরা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।

এএন/০৪