কুলাউড়া প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৪, ২০২০
০৯:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০২০
০৯:০০ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে এক তরুণী (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিন যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এরপর ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে নিজের সৎ বাবাসহ ৫ জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- কুলাউড়া উপজেলার কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কাশেম আলী (২৩), গাজীপুর গ্রামের আসকর আলীর ছেলে আরজান আলী (২৪) ও ঝন্টু সুত্রধরের ছেলে রাজেস সুত্রধর ওরফে পাপ্পু (২১)। মামলার প্রধান আসামি ভিকটিমের সৎ বাবা ইমরান হোসেন ও অজ্ঞাতনামা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক পলাতক রয়েছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার বাসিন্দা ওই তরুণী কুলাউড়া পৌরশহরের জয়পাশা গ্রামে তার সৎ বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তরুণীর সৎ বাবা ইমরান হোসেন বেড়ানোর কথা বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তাকে শহরের স্টেশন রোডে সোনালী ব্যাংকের নিচে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি ৩ হাজার ১শ টাকা নিয়ে কাশেম আলী ও তার অপর ২ সহযোগীর সঙ্গে তরুণীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। অটোরিকশায় করে নিয়ে গিয়ে রাত ১০টার দিকে কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা মনছড়া গ্রামের জনৈক কাদির মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে কাশেম আলী ও তার ২ সহযোগী মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বাড়িটি অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তরুণীসহ তিন যুবককে আটক করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তিন যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অসি) মো. ইয়ারদৌস হাসানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা তরুণীসহ অভিযুক্ত তিন যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজে বাদী হয়ে তার সৎ বাবাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং আটক তিন যুবককে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেএইচ/আরআর-০১