গোয়াইনঘাটে নিহত শ্রমিক রাসেলের দাফন তাহিরপুরে সম্পন্ন

তাহিরপুর প্রতিনিধি


অক্টোবর ১৮, ২০২০
০৭:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০২০
০৭:০০ অপরাহ্ন



গোয়াইনঘাটে নিহত শ্রমিক রাসেলের দাফন তাহিরপুরে সম্পন্ন

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত শ্রমিক রাসেল মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বেতাগড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে মনতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যায় রাসেল মিয়ার মরদেহ নিহতের পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার রাত ১০টার দিকে মরদেহ নিহতের বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ছেলের মরদেহ দেখে বাবা, মা ও তার আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়লে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে কাজ শেষে রাসেল গোয়াইনঘাট বাজারে টেলিভিশন দেখতে যায়। ওইসময় তার সঙ্গে থাকা ৫ জন জাফলংয়ের একটি ধানক্ষেতে পাথর দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এর পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে রাসেল নিখোঁজ রয়েছে মর্মে গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রাসেলের বাবা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জাফলংয়ের একটি ধানক্ষেত থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদসহ পুলিশের একটি টিম এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মেহেদি হাছানকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যমতে বাকি ৪ জনকেও আটক করে পুলিশ। পূর্বশত্রুতার জেরে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ এ ঘটনায় ৫ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'গত বুধবার রাতে রাসেল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার তিনি গোয়াইনঘাট থানায় নিখোঁজ আছে মর্মে একটি জিডি করেন। এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ রাসেলের সন্ধান করতে গিয়ে শুক্রবার জাফলংয়ের একটি ধানক্ষেতে রাসেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তাৎক্ষণিক পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।'

আটককৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মৃত শানুর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), একই উপজেলার আব্দুল জালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (৩০), মো. রইচ উদ্দিনের ছেলে সুলেমান মিয়া (৩৫), তরং এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে নজির হোসেন (২৮) এবং একই এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে শাহিদুল ইসলাম (২৬)।

 

এএইচ/আরআর-০৩