ইউএনও'র উপহার পেল বড়লেখার সেই চন্দনা

বড়লেখা প্রতিনিধি


অক্টোবর ১৯, ২০২০
১০:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০২০
১০:৫০ অপরাহ্ন



ইউএনও'র উপহার পেল বড়লেখার সেই চন্দনা

মাত্র ৯ বছরের শিশু চন্দনা বুনার্জী। এই ছোট্ট শিশুটির চোখের সামনে সৎ বাবার দায়ের কোপে মরতে হয়েছে মা আর নানিসহ দুই প্রতিবেশীকে। তবে সেদিন পালিয়ে বেঁচে যায় সে। সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব চন্দনার ঠাঁই হয় শ্রীমঙ্গল সরকারি শিশু পরিবারে।

সেই চন্দনাকে সবাই ভুলে গেলেও মনে রেখেছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চন্দনাকে উপহার দিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান তাঁর কার্যালয়ে চন্দনার হাতে পূজার উপহার তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন, সাংবাদিক আব্দুর রব, তপন কুমার দাস ও এ.জে লাভলু।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাথল চা-বাগানে পারিবারিক কলহ নিয়ে নির্মল কর্মকারের সঙ্গে তার স্ত্রী জলি বুনার্জির ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে নির্মল জলিকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এসময় জলিকে বাঁচাতে তার মা লক্ষ্মী বুনার্জি ও পাশের ঘরে থাকা বসন্ত ভৌমিক ও বসন্তের মেয়ে শিউলী ভৌমিক এগিয়ে এলে নির্মল তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার সময় ঘাতক সৎ বাবার দায়ের কোপ থেকে কোনোমতে বেঁচে যায় চন্দনা বুনার্জী। সে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে আশাপাশের শ্রমিকরা বাড়ি ঘেরাও করেন। একে একে ৪ জনকে হত্যা করে ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নির্মল। ওই ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বসন্তের স্ত্রী আহত কানন বালা। পরে বেঁচে যাওয়া শিশু চন্দনার ঠাঁই হয় শ্রীমঙ্গল সরকারি শিশু পরিবারে।

 

এজে/আরআর-০৫