এগিয়ে যাওয়ার শুরু নাকি আবারও বিস্ময়

ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, নিউইয়র্ক


নভেম্বর ০২, ২০২০
০৯:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৩, ২০২০
০৪:৫৭ অপরাহ্ন



এগিয়ে যাওয়ার শুরু নাকি আবারও বিস্ময়

আগামীকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের আমেরিকা কোন পথে। বিশ্বের সেরা দেশটি চিরচেনা রূপে ফিরে যাবে নাকি আবার চার বছরের জন্য  ট্রাম্পের আমেরিকাই থাকবে সেই ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। 

আগামীকাল ৩ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাচনের জন্য দুই পক্ষের শেষ মুহূর্তের প্রচার চলছে। এর আগে শনিবার পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, বাইডেনের হাতে আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাবে। নিজের কাছে আমেরিকা থাকলে করোনা ভাইরাস ধ্বংস হবে, দেশ আবার মহান হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে মিশিগানের উত্তেজনাকর মাঠে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সঙ্গে জো বাইডেন। তাঁরা বলেছেন আমেরিকার এগিয়ে যাওয়া শুরু হবে মঙ্গলবার রাত থেকেই। জনগণ ভোট দিলেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার এ পরিবর্তন শুরু হবে।

নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ন রাজ্য ফ্লোরিডায় লড়াই জমজমাট হয়ে উঠেছে। জরিপ বলছে দুই প্রার্থীর অবস্থান সমান সমান। জরিপের ওপর মানুষের আস্থা নেই, তবে তীব্র প্রতিদ্ধন্ধিতা হচ্ছে, তা স্বীকার্য। বাইডেন ফ্লোরিডা জিতলে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে এ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না সমর্থকরা।

জো বাইডেন নির্বাচনী রাতে, ৩রা নভেম্বর উইলমিংটন, ডেলওয়ারে থাকবেন। সেখান থেকেই তিনি বিজয়ী বা পরাজয় মেনে নেয়ার ভাষণ দেবেন। তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী জিল বাইডেন এবং তাঁর ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও স্বামী ডাগ এমহফ। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাত ৩টায় নিউইয়র্কে বিজয় ভাষণ দিয়েছিলেন।

গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন , এটি একটি খুব আকর্ষণীয় মঙ্গলবার হতে চলেছে। ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে, এ নিয়ে সর্বত্র উদ্বগ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর সমর্থকদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯ সতর্কতার কারণে ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে হোটেলের সমাবেশের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের আঙ্গিনায় সমর্থকদের জড়ো করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে।  

হোটেল না হোয়াইট হাউস, এ নিয়ে রিপাবলিকান শিবির কোনো নিশ্চিত ঘোষণা প্রদান করেনি। সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে প্রচারণায় যোগ দেয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের আগের তিনদিন আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের রাতটি খুব আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করছেন তিনি হোয়াইট হাউস এবং হোটেলের সীমিত আয়োজনের মধ্যে ঘুরাফেরা করবেন।  

ফার্স্টলেডি ম্যালেনিয়া ট্রাম্প করোনা ভাইরাস পেনডেমিক প্রশ্নে তাঁর স্বামীর ভূমিকার পক্ষে কথা বলেন। উইসকনসিনে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় যখন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন ছিলো, ডেমোক্রেটরা তখন এটিকে একটি দলীয় ইস্যু বানিয়ে ফেলেছেন। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে যাঁরা সন্দেহ সৃষ্টি করছেন তাঁদের সমালোচনা করে ম্যালেনিয়া বলেন, আমার স্বামীর নেতৃত্বেই ভ্যাকসিন আসছে।  

সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা মিশিগানে শনিবার তাঁর সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে প্রচারণা করেছেন। তিনি মুখে যে মাস্ক পড়েছেন, তাতে লেখা ছিলো, ‘ভোট দিন’। ওবামা বলেন, মঙ্গলবার পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিন। বাইডেন-হ্যারিস-কে ভোট দিয়ে ‘উন্নত আমেরিকা’র পক্ষে থাকুন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার পেনসিলভানিয়ার নিউটনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি পেনসিলভানিয়ায় জিতবেন। ২০১৬-তে তিনি ৫০ হাজারের কম ভোটে এই রাজ্য জিতেছিলেন। তিনি পেনসিলভানিয়ায় ব্যালট ইস্যু’র প্রশ্ন তুলেন এবং করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।    

মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত থেকে তামমাত্রা উষ্ণ হতে শুরু করবে। নির্বাচনের রাতে উষ্ণতা বেড়ে কতোটা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে ওয়াশিংটনসহ পুরো আমেরিকা , এ নিয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। নির্বাচনের জের ধরে নগর জনপদ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে কি না,এ নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা কল্পনা।

২০১৬ সালের পরাজয় এখনো তাড়া করছে ডেমোক্রেটদের। আগাম অনুমানকে অসার করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কারো কোন প্রস্তুতি ছিল না সে সময়ে।  

এবারের নির্বাচনে প্রায় সব জরিপে এখনো এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। শেষ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে সুইং স্টেট নামে পরিচিত নর্থ ক্যারোলাইনা এবং এরিজোনা রাজ্যে দুই প্রার্থীর অবস্থান একদম সমান সমান। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে ডেমোক্রেট সমর্থকরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। তবে কোন বিস্ময়কে আবার উড়িয়েও দিচ্ছেন না।

প্রচারণার শুরুতে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ছুটে যাননি রাজ্য থেকে রাজ্যে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং নিজের বয়স বিবেচনা করে তাঁকে সতর্ক থাকতে হয়েছে। ডেমোক্রেট শিবিরের প্রথমদিকের প্রচারণায় ভার্চুয়াল জনসংযোগকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল।

অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রচারণায় ব্যবহার করেছেন হোয়াইট হাউসকে। রিপাবলিকান দলের প্রচারণা ছিলো দরজায় দরজায় কড়া নাড়া।কোরনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করেই তাদের বেপরোয়া প্রচারণা শুরু থেকেই ছিলো মাঠ পর্যায়ে।  

নির্বাচনি প্রচারণার জন্য দরজায় দরজায় করা নাড়ার বিকল্প নেই। ড্যামোক্রেট কৌশলবিদরা এমন বিষয় আঁচ করে দ্রুত মাঠে নেমেছেন। শেষ দিকে ছুটে গেছেন মাঠের জনসংযোগে। জো বাইডেন শেষ মুহূর্তে যাচ্ছেন মিশিগান , ইউসকনসিন এবং পেনসিলভেনিয়াতে।

এসব রাজ্যে সরাসরি জনসংযোগের ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাচ্ছে জনমত জরিপের সর্বশেষ অবস্থানে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের উদ্দীপ্ত করতে। বাইডেন শিবির থেকে হিস্পানিক ভোটারদের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছাতে বেশ বিলম্ব করা হয়েছে।তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে একেবারে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায়।      

ড্যামোক্রেট কৌশবিদ মাইক মোরেই বলেছেন জনমত জরীপ এবং সব বাস্তবতা পক্ষে থাকলেও ড্যামোক্রেটদের অতি আশাবাদ হওয়ার কারণ নেই। ২০১৬ সালের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে দলের নেতারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজী নয়।  

জনমত জরিপ এবং আমেরিকার নির্বাচনের নানা জটিল হিসেব করা ছাড়াও আলোচনায় জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন ড্যামোক্রেটিক প্রার্থী ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক শক্তি আমেরিকার লোকজনের কাছে জানা ছিল। তাঁর প্রতি আমেরিকার মানুষের সন্দেহ, অবিশ্বাসও প্রকাশ্য ছিল।

রাজনীতির মঞ্চে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে লড়েছিলেন অনেকটা আগন্তুক হিসেবেই। এবারের অবস্থা ভিন্ন। ট্রাম্পের চেয়ে জো বাইডেনকে আমেরিকার সাধারণ মানুষজন অনেক বেশি পছন্দ করে। একজন বিনয়ী রাজনীতিবিদ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মতো আচরণ তাঁর কাছ থেকে লোকজন সহজেই প্রত্যাশা করে। বাইডেনেকে নিয়ে আমেরিকার সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের সহনশীল মনোভাবও দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অর্থের অঢেল প্রবাহকে বড় করে দেখা হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন জো বাইডেন। এক বিলিয়ন ডলারের এ অর্থ প্রবাহের কারনেই টিভি প্রচারণায় বাইডেন শিবির রিপাবলিকানদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কোন কোন রাজ্যে রিপাবলিকানদের চেয়ে ড্যামোক্রেটদের দ্বিগুণ বিজ্ঞাপন চলতে দেখা গেছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এক বৈরী বাস্তবতা। মার্চ মাস থেকে আমেরিকায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে গেছে। নির্বাচনের ঠিক আগে আগে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ লোকের সংক্রমণ হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ এলাকা এখন সংক্রমণ ঝুঁকির আওতায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা ভাইরাসকে গুরুত্ব দেননি, এখনো দিচ্ছে না। লাখো মানুষের মৃত্যুর নিঃশ্বাস তাঁকে তাড়া করবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত,এমন মনে করা হচ্ছে। এ বাস্তবতা তাঁকে মোকাবেলা করতেই হবে। হয়ত মূল্যটা দিতে হবে ৩ নভেম্বরে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি রাজনীতিতে দেখা গেছে,গত দুই দশকে প্রবীনদের কাছে ডেমোক্রেটদের জনপ্রিয়তা কমেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রবীণ আমেরিকারা ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এবারে তাঁর ব্যতিক্রম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর প্রবীণদের এ মুখ ফেরানোর ফলাফল দেখা যেতে পারে মঙ্গলবারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলে আমেরিকার রাজনীতিতে প্রবীণদের ভোট পাওয়ার জন্য ড্যামোক্রেটরা জো বাইডেনকে বাহবা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নারীদের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অজনপ্রিয় নাম। এবারের নির্বাচনে শ্বেতাঙ্গ নারীদের আনুকূল্য পাচ্ছেন জো বাইডেন।  

যুব তরুণদের মধ্যে ডেমোক্রেট দল এমনিতেই জনপ্রিয়। যদিও এ জনগোষ্টি ভোট প্রদানের ব্যাপারে তেমনটা উৎসাহী নয়। এবারের নির্বাচনে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে , তাঁর কারনেও যদি যুব তরুণদের ভোট প্রদানের হার কিছুটা বেশি হয়, তার ফলও পাবেন জো বাইডেন।

নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্পষ্ট কোনো বার্তা নেই আমেরিকার জনগণের কাছে। প্রচারণায় দাঁড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তুলোধুনো করছেন। জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের দুর্নীতির কথা বলছেন। জো বাইডেনকে নাম ধরে অবমাননাকর উক্তি করছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভয়ংকর প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করছেন। আমেরিকা নৈরাজ্যবাদী সমাজতন্ত্রীদের হাতে চলে যাবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন। যদিও তাঁর আগামী চার বছরের জন্য নিজের পরিকল্পনা নিয়ে কোন স্পষ্ট বক্তব্য নেই ট্রাম্পের। লোকজন ধরেই নিতে পারে , ট্রাম্পের অধীনে আরও চার বছরের আমেরিকা মানে নানা বিশৃঙ্খলার আমেরিকা !

পাশাপাশি ড্যামোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের বক্তব্য স্পষ্ট। তিনি তাঁর শেষ মুহূর্তের বক্তৃতাগুলোতে বলেছেন, চরিত্রই আমার ব্যালটের প্রধান শক্তি। এ চরিত্র আমাদের দেশের চরিত্র। অন্ধকার থেকে আলোর পথে বেরিয়ে আসার চরিত্র। ক্রোধের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।

আমেরিকার লোকজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের এলোপাতাড়ি বক্তব্যের পক্ষে, না জো বাইডেনের স্পষ্ট বক্তব্যের পক্ষেÑতা জানার জন্য এখন অপেক্ষার পালাও একদম সংকুচিত হয়ে উঠেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে আমেরিকার জনগণের অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়ে গেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়ার নিশ্চিত কোনো প্রতিশ্রুতি প্রদান করেননি। অনেক আগে থেকেই তিনি বলে আসছেন , দেখবেন কী হচ্ছে! ডাকযোগে ভোট নিয়ে আগাম অনেক কথাই বলে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ভোট জালিয়াতি হতে পারে , সঠিকভাবে গণনা নাও হতে পারেÑএমন কথাও তিনি বলে আসছেন।

অপরদিকে ড্যামোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন পরিষ্কারভাবে বলে আসছেন নির্বাচনের নিশ্চিত ফলাফল পাওয়ার পর তিনি তা মেনে নেবেন এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা দেবেন।

শেষ মুহূর্তেও দেখা যাচ্ছে জাতীয় জনমত জরিপে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। সব নির্বাচনী উত্তাপ এখন ফ্লোরিডা, পেনসিলভেনিয়াসহ কয়েকটি সুইং স্টেটে। জনমত জরিপের কিছুটা উঠানামা করছে। ফ্লোরিডায় বিপুল সংখ্যক শ্বেতাঙ্গ লোকজন ভোট দিতে লাইন দিচ্ছে। ডেমোক্রেট দলের সমর্থকদের আশাবাদ, একদম ভূমিধ্বস বিজয়ে বাইডেন জয়ী হবেন। ট্রাম্পের সমর্থকরা মনে করেছেন, ২০১৬ সালের মতো বিস্ময় অপেক্ষা করছে।

ফলাফল যাই হোক, নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার প্রতিটি নগরী উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে কোনো কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে না দিলে মঙ্গলবার রাত থেকেই আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা হওয়ার আশংকাও করা হচ্ছে। এনিয়ে নগরীগুলো পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথাও জানিয়েছে।     

 

লেখকের এ সংক্রান্ত অন্য কলাম পড়ুন

ট্রাম্পের টিকে থাকার লড়াই!

 

এএফ/০২