সাংসদের বিরুদ্ধে না লেখায় মানবাধিকারকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


নভেম্বর ১১, ২০২০
০১:১৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০২০
০১:১৩ পূর্বাহ্ন



সাংসদের বিরুদ্ধে না লেখায় মানবাধিকারকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে না লেখায় দোয়ারাবাজারের নুরুজ্জামান (৩২) নামক এক মানবাধিকারকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনায় সোমবার দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বরকতনগর গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার সাধু মড়লের পুত্র শফিকুল ইসলাম (আর্মি) একই গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর পুত্র মানবাধিকারকর্মী নুরুজ্জামানকে তার দোকানে এসে স্থানীয় সাংসদ মানিকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখতে বলেন। নুরুজ্জামান এতে রাজি না হওয়ায় শফিকুল ইসলাম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা মিলে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং অন্য এক দোকানে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন তাকে উদ্ধার করেন। 

সুরমা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, 'ঘটনার দিন নুরুজ্জামানের সঙ্গে তার দোকানে কথা বলছিলাম। এ সময় শফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি মারধর করেন এবং একটি দোকানে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।'

মারধরের শিকার নুরুজ্জামান বলেন, 'স্থানীয় এমপি মহোদয়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে না লেখায় শফিকুল ইসলাম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে দোকানে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ীরা আমার প্রাণে রক্ষা করে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। হামলাকারীরা এলাকার প্রভাবশালী লোক। তাদের ভয়ে আমি এখন বাড়িছাড়া। নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম (আর্মি) এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজির আলম বলেন, 'অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'

 

এইচএইচ/আরআর-০৫