কমলগঞ্জে কাত্যায়ানী পূজা সম্পন্ন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ৩০, ২০২০
০৫:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০২০
০৬:৪৫ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে কাত্যায়ানী পূজা সম্পন্ন

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে গঙ্গাস্নান, পূজার্চনা ও মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চা শ্রমিকদের ২০তম কাত্যায়ানী পূজা। দিনটি উপলক্ষে উপজেলার মাধবপুর চা-বাগানে সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে কার্তিক মাসব্যাপী ব্রতপালন শেষে গভীর রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে নামকীর্তন শুরু হয়।

আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাত থেকে বিভিন্ন চা-বাগানের কয়েক হাজার ভক্ত গঙ্গাস্নান ও পূজার্চনা করতে মাধবপুরের হীরামতি এলাকায় ধলাই নদীর তীরে সমবেত হন। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গঙ্গাস্নান ও পূজার্চনা চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। 

সোমবার সকালে পূজা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, আসহাবুজ্জামান শাওন, সীতারাম বীন, কৃষ্ণলাল দেশওয়ারা, সুচিত্রা বালা নুনিয়া, কংকন ছত্রী, দেওনারায়ন পাশি প্রমুখ। 

গঙ্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামদাস পানিকা, সদস্য সত্যনারায়ণ ভর, নিমাই নুনিয়া ও শিবনারায়ণ নুনিয়ার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্ধের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র মাঘ মাসজুড়ে এই ব্রতপালন করেন। এই ১ মাস তারা মশলাবিহীন খিচুড়ি ও সিদ্ধজাত খাবার খান এবং সকালে নদীতে স্নান করে নদীর তীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপর নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ি ফিরে যান। মনমতো স্বামী পাওয়ার প্রার্থনায় সকলের সঙ্গে গত ১ মাসব্যাপী উপবাস করে কাত্যায়ানী ব্রত পালন করেছেন চা শ্রমিক তরুণীরা। 

একমাস কাত্যায়ানী মূর্তিকে চন্দন, ধূপ, দ্বীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে স্নান করে ভেজা কাপড়ে খোদিত কাত্যায়ানীর মূর্তির সামনে চন্দন, দ্বীপ, ফল, পান, নবপত্র, মালা ও ধূপ দিয়ে পূজা করেন হাজার হাজার চা শ্রমিক ভক্তরা। পরে উপস্থিত ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২০ বছর যাবত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে। 

 

এসডি/বিএন-০৬/আরআর-০২