লোককবি মকদ্দস উদাসী পাচ্ছেন দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন



লোককবি মকদ্দস উদাসী পাচ্ছেন দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক

সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক’ পাচ্ছেন লোককবি শিল্পী মকদ্দস আলম উদাসী। ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাকে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেমুসাসের বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

লোককবি মকদদ্দস আলম উদাসীর জন্ম ১৩৫৪ বাংলায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরবাড়া গ্রামে। তিনি ১২ বছর বয়সে গান লেখা শুরু করেন।

তার প্রকাশিত গ্রন্থÑ পরার জমিন (গানের বই, মার্চ ১৯৯৯), বিরহ লহরী (গানের বই, ২০০২), উদাসী সংগীত (গানের বই, মে ২০১৭), নির্বাচিত গান ( মে ২০১৭)। তিনি প্রায় দেড় হাজার গান রচনা করেছেন। সেসব গান দিয়ে বন্যা, ট্রলার, কোলাকানীর বাঁক, বিরহ লহরী ১ম থেকে ৫ম খন্ড, উদাসীসংগীত ১ম থেকে ৭ম খন্ড নামের পান্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায়।

তিনি নাগরী লিপ্যান্তরে অত্যন্ত দক্ষ। বেশ কিছু নাগরী বইয়ের তিনি লিপ্যান্তর করেছেন। গান লেখার পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া লোককবিদের গানও সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত তিনি জগন্নাথপুরের রানিগঞ্জের রহমতুল্লাহ শাহ’র ১১৫ টি, ছাবাল আলীর ৪৭ টি গান সংগ্রহ করেছেন। তার আধ্যাত্মিক গুরু ছাতক উপজেলার কামারগাঁওয়ের শুকুর আলী চিশতি।

মকদ্দস আলম উদাসী চরবারা মতিনিয়া লুৎফুল উলুম মাদরাসায় সাফেলা পাঞ্জম পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর এক বছর জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর মাদরাসায় পড়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তারপর চলে আসেন ছাতকের দুর্ব্বীন টিলায়। তিনি সংগীতে দুর্ব্বীন শাহর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানে তিনি দোতারা-বেহালা বাজানো শেখেন, মালজোড়া গানের প্রশিক্ষণ নেন। তিনি জালাল উদ্দিন, দুর্ব্বীন শাহ’র গান গাইতেন।

মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে উদাসী সিলামের আবদুল খালিক, অন্নদা, শাবুল মিয়া, ফকির শামসুল, কফিল উদ্দিনের সঙ্গে মালজোড়া গাইতেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রে শিল্পী হিসেবে যোগ দেন ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে। তবে ১৯৯৬ থেকে বেতারে আর গান গাইছেন না।

মকদ্দস আলম উদাসী বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুরে একটি ভাড়া ঘরে বাস করেন।

আরসি-০১