সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০৪:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০৬:১৬ অপরাহ্ন
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বাদিপক্ষের স্বাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় পিছিয়েছে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। আলোচিত এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে হাজির করা হয় মামলার ৮ আসামিকে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, বাদিপক্ষের আইনজীবী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ছিনতাই মামলা একই আদালতে একসাথে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেন। বিচারক তা খারিজ করে আগামী তারিখে স্বাক্ষী হাজির করার নির্দেশ দেন।
গত ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আজ ২৪ জানুয়ারি স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এএফ/০১