বড়লেখায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে উধাও গৃহকর্মী

বড়লেখা প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০৮:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০৮:৩৯ অপরাহ্ন



বড়লেখায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে উধাও গৃহকর্মী

গৃহকর্মী মরিয়ম (জয়নব)

অসহায়ত্ব দেখে মানবিক কারণে ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে গৃহকর্মী হিসেবে বাড়িতে কাজ দিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী হাজেরা বেগম (৭৬)। সেই প্রতারক গৃহকর্মীর কারণে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুণতে হচ্ছে তাকে। অভিযোগ উঠেছে, চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়েছেন গৃহকর্মী মরিয়ম (জয়নব)। অসুস্থ বৃদ্ধা হাজেরা বেগম তিনদিন ধরে সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।   

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি নিজেকে মরিয়ম (জয়নব) পরিচয়দানকারী ষাটোর্ধ্ব নারী উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের বাড়িতে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ চান। বৃদ্ধা হাজেরা বেগম দেশে বসবাস করলেও তার ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। অপর ছেলে সেলিম আহমদ স্ত্রী-সন্তানসহ বড়থল গ্রামে বসতবাড়িতে থাকেন। তার সঙ্গে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমও বসবাস করেন।

মরিয়ম জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা এলাকায় বাড়ি থাকলেও স্বামী-সন্তান কেউ নেই বলায় হাজেরা বেগম ও তার ছেলে সেলিমের দয়া হয়। তাই তারা ওই নারীকে ঘরের কাজের জন্য রেখে দেন। গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে সেলিম আহমদ বৃদ্ধা মা ও গৃহকর্মীকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী-সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় যান। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে মাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো ছিল এবং গৃহকর্মী নারীকে খুঁজে পাননি তিনি। পরে দেখেন মায়ের পরনে থাকা ও ঘরের বিভিন্ন আলমারীতে থাকা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে ওই গৃহকর্মী পালিয়ে গেছেন।

সেলিম আহমদ জানান, তার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাবতেও পারেননি এভাবে ভুয়া নাম-ঠিকানা বলে অনুনয়-বিনয় করে ঘরে ঢুকে সুযোগ বুঝে সবকিছু নিয়ে উধাও হবেন ওই নারী। চিকিৎসকরা বলছেন তার মায়ের শরীরে উচ্চমাত্রার চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আইসিইউতে তার মায়ের চিকিৎসা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার আজ রবিবার বিকেলে জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এজে/আরআর-০৬