তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন, পাঁচজনের ২০ বছর জেল

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০১:২৯ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০১:২৯ অপরাহ্ন



তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন, পাঁচজনের ২০ বছর জেল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করা হয়। সদস্য বিচারপতিরা হলেন আমির হোসেন ও আবু আহমেদ জমাদার।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, এ মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। এর মধ্যে গ্রেপ্তার ছিলেন মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ।

পলাতক ছিলেন এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান।  

এর মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহান মারা যান।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারজনকে হত্যা, নয়জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

বিএ-০৭