মৌলভীবাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে নামাজ আদায়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


মার্চ ২৮, ২০২১
০৯:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৮, ২০২১
০৯:৫৬ অপরাহ্ন



মৌলভীবাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে নামাজ আদায়

মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। পরে সেখানে তারা জোহরের নামাজ আদায় করেন।

রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর এলাকায় কয়েক ঘণ্টা মৌলভীবাজার-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকালে জুগিডহর এলাকায় হরতালের সমর্থনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। আর বিকেলে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ করে জামেয়া শেখবাড়ি মাদরাসার ছাত্ররা।

এদিকে, জেলার কুলাউড়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বেলা ১টার দিকে হাজিপুর ইউনিয়নের কটারকোনা বাজার এলাকায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কটারকোনা বাজার এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা হরতালের মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, হরতাল চলাকালে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো মোড়ে মোড়ে অবস্থান করেছে পুলিশ। টহল দিয়েছে র‍্যাবও। যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হেফাজত বড়লেখায় বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাধা দেয়।

মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ এলাকা থেকে হেফাজতের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সারা শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে কুসুমবাগে সমাবেশ হয়। সেখানে বক্তব্য দেন মাওলানা আহমদ বিল্লালসহ অনেকে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, 'মৌলভীবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত রয়েছে। কুলাউড়ায় কিছু লোক জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ পরে অবস্থান নেয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।'

 

এসএইচ/আরআর-১০