রাজনগরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

রাজনগর প্রতিনিধি


মে ০১, ২০২১
১১:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০১, ২০২১
১১:১৬ অপরাহ্ন



রাজনগরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

মৌলভীবাজারের রাজনগরের মুন্সিবাজারে দুইপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রবাসী রাহেল হোসেনের লোকজনের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চেয়ারম্যানের ভাই জুনেদ মিয়া। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালেক মিয়ার কাছে নোয়াটিলা গ্রামের বশর মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। শুক্রবার দিনে চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া বশর মিয়াকে মুন্সিবাজারে পেয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্নজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ধমক দেন। বশর মিয়া বিষয়টি তার গ্রামের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রবাসী রাহেল হোসেনকে জানান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ওইদিন ইফতারের পরে উভয়পক্ষের লোকজন জড়ো হওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে নোয়াটিলা গ্রামের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়ার ভাই জুনেদ মিয়াকে (৪২) পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। 

খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনও বাজারে নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। খবর পেয়ে রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ১১ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবু নাসের রিকাদ্দার, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, 'বশর মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিষয়ে কথা কাটাকাটি নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। একটি পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে অবস্থান নিয়েছে বলে শুনেছি। তবে ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি। পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। কোনো পক্ষ থেকে এখনও মামলা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।'

 

এফএইচ/আরআর-০১