কুলাউড়ায় সরকারি সার ও বীজ জব্দ

কুলাউড়া প্রতিনিধি


মে ১২, ২০২১
০৬:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১২, ২০২১
০৬:০৮ পূর্বাহ্ন



কুলাউড়ায় সরকারি সার ও বীজ জব্দ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে গত সোমবার (১০ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯ বস্তা সার ও ২ বস্তা বীজ জব্দ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। জব্দকৃত সার ও বীজ গতকাল মঙ্গলবার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন জানতে পারেন, কর্মধা ইউনিয়নের ট্যাক্স কালেক্টর তাজুল ইসলামের বাড়িতে সরকারি সার ও বীজ রয়েছে। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই অভিযান চালান এবং তাজুল ইসলামের ঘর থেকে সরকারি ৯ বস্তা সার ও ২ বস্তা বীজ জব্দ করেন। জব্দকৃত সার ও বীজ সাইদুল মেম্বারের জিম্মায় রেখে আসেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করে আসেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদের ৪-৫টি মূল্যবান সেগুন গাছ কেটে বিক্রি করার চেষ্টাকালে বন বিভাগ গাছগুলো জব্দ করে। সেই গাছগুলোর দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা হবে। তাজুল চেয়ারম্যানের আত্মীয় পরিচয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

কর্মধা ইউনিয়নের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, কৃষি কর্মকর্তা সোমবার রাতে এসে আমাকে নিয়ে তাজুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং তার ঘর থেকে সার ও বীজ উদ্ধার করে আমার জিম্মায় রেখে যান। মঙ্গলবার সকালে এসে সেই সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে গেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন বলেন, তাজুল ইসলাম এলাকার ১০ জন কৃষকের বরাদ্দকৃত সার ও বীজ উপজেলা থেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে রাখেন। ১০-১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কৃষকের মাঝে তা বিতরণ করেননি। বিষয়টি জানতে পেরে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ৫ জনের গ্রুপে কৃষকরা সার ও বীজ কৃষি অফিস থেকে গ্রহণ করে থাকেন। সার ও বীজগুলো যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে তা জব্দ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

 

জেএইচ/আরআর-০৬