ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন জুড়ী ছাত্রলীগের সভাপতি

জুড়ী প্রতিনিধি


জুন ০৭, ২০২১
০৮:২৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৭, ২০২১
০৮:২৯ অপরাহ্ন



ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন জুড়ী ছাত্রলীগের সভাপতি

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন সাবেল অভিযোগ করেছেন, মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অভিযোগে যারা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে পারেননি, সে রকম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

সোমবার (৭ জুন) জুড়ী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জুড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে সাবেল অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক ইতোপূর্বে জুড়ী উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অপরাধে অনুপ্রবেশকারীদের স্থায়ী বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ৫ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার নামে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়। তা সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা রাজাকারপুত্র মাসুদ সাঈদী ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন পরিচালিত প্রাণের প্রিয় জুড়ী বড়লেখা পেইজদ্বয় থেকে শেয়ার করা হয় ও ভাইরাল হয়।

তিনি বলেন, মূল বিষয় হচ্ছে আমার বাড়ির পাশেই সালমান শাহ ও তার অসহায় পরিবারের বসবাস। উক্ত পরিবারটির বসতঘর নিয়ে পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের নুরু নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে সালমান শাহ ও তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধকে কাজে লাগিয়ে ভূমিখেকো একটি কুচক্রিমহল সালমান শাহ ও তার পরিবারের ভূমি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করতে থাকে। এ বিষয়ের জের ধরে গত ২৬ এপ্রিল রাতের আঁধারে জহিরুল ইসলাম, স্বপন মিয়া ও মর্তুজ আলীসহ একদল সন্ত্রাসী সালমান শাহ ও তার পরিবারের বসতঘরটি ভেঙে ফেলে দখলে নিতে চায়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে সালমান শাহ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং পঞ্চায়েতের মুরব্বিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। স্থানীয় মুরব্বিগণ বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে আমিও উপস্থিত ছিলাম। এলাকার মুরব্বিগণ সালিশ বৈঠক করে উক্ত বিষয়টি সমাধান করে দিতে ব্যর্থ হন। আমি সালিশ বৈঠকে অসহায় পরিবারটির পক্ষে কথা বলায় স্বপন গংরা সেই ভূমি ভক্ষণ করতে আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

সাবেল বলেন, গত ৩ জুন সন্ধ্যায় আমার একজন কর্মী এনামুল হক নাঈমকে সাবেল গ্রুপের ছেলে বলে স্বপন মিয়ার কলোনির সামনে মারধর করা হয়। যার প্রেক্ষিতে নাঈম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জুড়ী নিউ মার্কেটের সামনে স্বপন মিয়াকে পেয়ে আমি জিজ্ঞেস করি নাঈমকে কেন মারধর করা হলো। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে চলে যান। পরবর্তীতে নাঈমকে মারধরের বিষয়টি জুড়ী থানায় বসে সামাজিকভাবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সুরাহা করার চেষ্টা করা হলে তারা সালিশ বৈঠকে মানবে না বলে থানা থেকে চলে যায়। উক্ত বিষয়টি অন্যদিকে নিতে ও আমি ওই অসহায় পরিবারটির পাশে অবস্থান নেওয়ায় স্বপন গংরা ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ধারাবাহিক নাটকীয় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ কর্মী এনামুল হক নাঈম, টিএন খানম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদনান আশফাক, সালমান শাহ প্রমুখ।


এইচআর/আরআর-০৬