জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
জুন ১১, ২০২১
০৭:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১১, ২০২১
০৭:৫২ অপরাহ্ন
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রভাবশালী কর্তৃক জমি আত্মসাতের জের ধরে একটি পিতৃহীন পরিবারকে অসামাজিকতার অভিযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে মিথ্যা সংবাদ উপস্থাপন করার অভিযোগে আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী কর্তৃক জমি আত্মসাৎ করায় জমি উদ্ধারের জন্য জৈন্তাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পরদিন অভিযোগকারী পিতৃহীন অসহায় নারীর বিরুদ্ধে অসামাজিকতার অভিযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে মিথ্যা সংবাদ উপস্থাপন করে প্রতিপক্ষ।
অভিযোগকারী বলেন, ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযোগকারীর পিতার মৃত্যু হয়। পিতার রেখে যাওয়া জমিজমা আত্মসাৎ করার জন্য আপন চাচা ও চাচাতো ভাই অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে অশ্লীল কথাবার্তা ও অসামাজিকতার অভিযোগ এনে গত ২৫ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও প্রকাশ করে, যাতে তার সম্মানহানি হয়েছে। লাইভ ভিডিও প্রচারের পর থেকে এলাকায় চলাফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে পিতৃহীন পরিবারটির।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন ৬ নম্বর মাননীয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সিলেটে দণ্ডবিধি আইনের ৫০০/৫০১ ধারা মোতাবেক উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের পূর্বগর্দনা গ্রামের মৃত আব্বাস মিয়ার ছেলে ময়না মিয়া (৫০), মৃত বতনা মিয়ার ছেলে রাছেল আহমদ (২৭), মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব (৪০), মৃত সমসুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ আহমদ (২৫), মৃত ইউছুর আলীর ছেলে আছদ্দর আলী (৬০), নিজপাট উজানীনগর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শোয়েব আহমদ (৩৫) ও নিজপাট মাহুতহাটি গ্রামের আজাদ ড্রাইভারের ছেলে হাসান মো. বদরুler (৩২) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলার পূর্ব গর্দনা গ্রামের মৃত নূরুল হক ডুমাই মিয়ার রেখে যাওয়া জৈন্তাপুর উপজেলার রুহিলাকান্দি হাওর মৌজার ১২৬ নম্বর জেএল, ৪৩৪ নম্বর দাগের ১০ বিঘা জমির মালিক হন। তার মৃত্যুর পর বাদীর চাচা ও চাচাতো ভাই জমি আত্মসাৎ করে নিয়ে যায়। বাদীর জমিতে নিজের খরচে ফলানো ধানগুলো জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায় তারা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরত রেখে কয়েকজন ইউটিউবারকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে আমার পরিবার ও আমার সম্মানহানি ঘটান। উল্লেখিত ইউটিউবারগণ আমাদের কোনো বক্তব্য কিংবা জমির বিষয় তাদের প্রচারে উল্লেখ করেননি।
বাদী জৈন্তাপুর মডেল থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করে আইনি সহায়তা না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাদীর লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মাননীয় আদালত জৈন্তাপুর মডেল থানাকে তদন্তপূর্বক দ্রুত মামলা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আদালত কর্তৃক একটি অভিযোগ আমার দপ্তরে এসেছে। তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। বাদী ইতোপূর্বে থানায় একাধিক অভিযোগ করেছেন, যা আমলযোগ্য ছিল না।
আরকে/আরআর-০৭