কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ২৪, ২০২১
০৬:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
০৬:৪৪ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে মতবিরোধে রাতের আঁধারে প্রতিবেশী বখাটে যুবকের রডের আঘাতে পা ভেঙে প্রায় ১ মাস ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামের দিনমজুর বৃদ্ধ সঞ্জয় কুমার দেব। আহতের সন্তান প্রায় ১ মাস যাবত এলাকার মুরব্বীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে অবশেষে কমলগঞ্জ থানায় বুধবার (২৩ জুন) রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কমলগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামের সংখ্যালঘু মৃত অভিন্ন চন্দ্র দেবের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দেবের সঙ্গে প্রতিবেশী ছাদ্দাম মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা নিয়ে মতবিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত ২৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সঞ্জয় চন্দ্র দেব বাড়ি ফেরার পথে তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি হামলা চালান প্রতিপক্ষ মোর্শেদ মিয়া ও তার মা নুরুন বেগম। প্রতিপক্ষের রড ও বাঁশের এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত হন সঞ্জয় চন্দ্র দেব। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বৃদ্ধকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রতিপক্ষের হামলায় সঞ্জয় চন্দ্র দেবের ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি পায়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করেই বাড়ি ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সঞ্জয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎকরা পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্ত অর্থ সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য বিষয় বলে জানিয়েছেন সঞ্জয় চন্দ্র দেবের পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে আহতের ছেলে ঝুমন দেব জানান, বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বুধবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
কমলগঞ্জ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসডি/আরআর-০২
