খেলা ডেস্ক
জুলাই ১৭, ২০২১
০৮:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১
০৯:০২ অপরাহ্ন
মাঝখানে আট বছর জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়াই হয়নি। তাই এবারের সিরিজ শুরুর আগে ২০১৩-র সর্বশেষ সফরের পারফরম্যান্স দিয়েই স্বাগতিকদের বিচার করে আসছিল বাংলাদেশ। যে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গিয়েও ড্র করা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডেতে পেরেই ওঠেনি সফরকারীরা। ২-১-এ হারার পর সমতায় শেষ হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজও।
দূরের অতীত হলেও তাদের মাঠে আরেকবার ব্রেন্ডন টেলরদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ার সম্ভাবনা ধরেই তাই এবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তামিম ইকবালরা। কিন্তু হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুইয়ানদের এমন অবস্থা হলো, যা সাধারণত তাদের বাংলাদেশে খেলতে এলেই হয়। দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (১৫৫ রানে) জেতার পর আজ নিশ্চিতভাবেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও স্বাগতিকদের একই হাল করতে চাইবেন তামিমরা। প্রথম ম্যাচ অন্তত সেই বিশ্বাস স্বাগতিক শিবিরে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।
যদিও বিশ্বাস থেকেই সব হয়ে যায় না। পারফরমও করতে হয়। সেই পারফরম্যান্সও প্রথম ম্যাচে এমন কয়েকজনের কাছ থেকে এসেছে, সিনিয়রদের ছায়ায় থেকেও মাঠে আলো ঝলমলে উপস্থিতি জানান দিতে না পারার জন্য যাঁদের প্রায়ই কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয়। একটি বড় ইনিংসের পর টানা ব্যর্থতায় ডুবে যাওয়ার জন্য সমালোচিত লিটন কুমার দাসের সেঞ্চুরি সবার দৃষ্টি কাড়লেও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না তরুণ আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজেই ব্যাটিংও।
তরুণদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের যোগফল বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পর সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বোলিং আক্রমণ স্বাগতিকদের ছিন্নভিন্ন করেছে। আজ একই রকম পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজেরও মীমাংসা করে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। তা-ই হলে এক যুগ পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজও জেতা হয়ে যাবে সফরকারীদের।
আজই সেই লক্ষ্য পূরণে সতীর্থদের কাছে ‘ছোট ছোট অবদান’ রাখার দাবিই বেশি জানাচ্ছেন তামিম। লিটনের সেঞ্চুরিকে প্রশংসায় ভাসালেও প্রথম ম্যাচে আফিফ ও মিরাজের ব্যাটিংও তাঁর কাছে কম অমূল্য নয়। এঁদের সবার পারফরম্যান্সে প্রথম ম্যাচটি যাকে বলে হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য ‘আদর্শ’ এক ম্যাচও।
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে ওয়ানডে অধিনায়ক বললেন সে কথাই, ‘একটি পর্যায়ে খুব বিপদে (৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানো) ছিলাম আমরা। একটি কথা সব সময় বলি। জুনিয়রদের পারফরম করতে হবে। এটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আমরাও বলেছি। শুক্রবারের প্রথম ওয়ানডে এ ক্ষেত্রে আদর্শ ম্যাচ ছিল।’
যে ম্যাচে লিটনের সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশের ২৭৬ রান করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন না তামিম, ‘যদি, লিটন বেশ দায়িত্ব নিয়ে একটি ইনিংস খেলেছে। আর সব সময় ১০০ বা ৫০ নিয়ে কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমার কাছে ছোট ছোট অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আফিফের ইনিংসটির কথা উল্লেখ করে তামিম বলেন, সে ওই ইনিংসটি না খেললে আমরা ২৭০ রান করতে পারতাম না। আরো ৩০-৪০ রান কম হতো। মিরাজের ইনিংসটিও (২৫ বলে ২৬) গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ ভাই (মাহমুদ উল্লাহ) আউট হওয়ার পর আরেকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদ হতো। ওই ছোট ছোট অবদান তাই খুব কৃতিত্বপূর্ণ, যা আমি পছন্দ করি।’
আজই সিরিজ জেতার মিশনে পছন্দসই সেই ব্যাপারটিই দেখতে চাইবেন তামিম। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ বল করার পর গোড়ালিতে অস্বস্তি অনুভব করায় উঠে যাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানকে এই ম্যাচেও না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবু সমস্যা যে হয়নি, সে স্বীকারোক্তিও আছে তামিমের কথায়, ‘আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুবই খুশি।’
নাখোশ টপ অর্ডারে নিজের আর সাকিবের দ্রুত বিদায়ে, ‘উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়া আদর্শ নয় অবশ্যই। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না।’
আরসি-০৮
সূত্র: কালের কণ্ঠ