কমলগঞ্জে বিশেষ প্রণোদনা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৮, ২০২১
০৯:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২১
০৯:৩৫ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে বিশেষ প্রণোদনা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষার ইউনিয়নে কোভিড-১৯ চলাকালীন সরকারের বিশেষ প্রণোদনা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য।

জানা যায়, উপজেলায় কোভিড-১৯ এর বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে প্রায় দেড় মাস পূর্বে প্রথম কিস্তির আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। দরিদ্র লোকদের মধ্যে ৫০০ টাকা করে বিতরণ করার কথা। বরাদ্দের সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে চাপাচাপি করলে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ৩০০ জনের মধ্যে ৫০০ টাকা হারে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ২০০ লোকের মধ্যে টাকা বিতরণ না করে চেয়ারম্যান তা নিজের কাছে রক্ষিত রেখেছেন। দ্বিতীয় কিস্তির ৬৬ হাজার টাকা এবং ১ মেট্রিক টন চাল যথাযথভাবে বরাদ্দ হয়নি অভিযোগ তোলে ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদে এই টাকা ও চাল বিতরণ করা হলেও পতনউষার ইউনিয়নে এই টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়নি বলে তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন।

অভিযোগকারী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিপন ইসলাম ময়নুল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সায়েক আহমদ বলেন, দেড় মাস আগে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ আসার পরও আমাদের জানানো হয়নি। ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে অনেক চাপাচাপির পর ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ৩০০ লোকের মধ্যে ৫০০ টাকা হারে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ২০০ লোকের জন্য টাকা চেয়ারম্যান নিজে রক্ষিত রেখেছেন। ট্যাগ অফিসার ছাড়া এগুলো বিতরণ ও মাস্টাররোল কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে ২য় দফায় ৬৬ হাজার টাকা ও ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এলেও সেগুলো বিতরণের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা জানতে চাইলে বলা হয় পরিবহন খাতের জন্য এগুলো রাখা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, শুধু করোনাকালীন সরকারের বিশেষ বরাদ্দই নয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিএসপি, এডিবি, টিআর, কাবিখা প্রকল্পসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের কোনো তথ্য প্রদান করা হয় না এবং বিগত প্রায় ৪ মাস যাবত ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভাও আহ্বান করা হয়নি।

এ ব্যাপারে পতনউষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তওফিক আহমদ বাবু বলেন, ২০০ লোকের মধ্যেও টাকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৬ হাজার টাকা ও ১ মেট্রিক টন চাল এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হবে। 

পতনঊষার ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন কর্মকর্তা মোর্শেদা মেরিনা বলেন, আমার উপস্থিতিতে একজন ইউপি সদস্য ব্যতিত অন্যান্য লোকদের মধ্যে ৫০০ টাকা করে যেগুলো বিতরণ হয়েছে, সেখানে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর করেছি। তবে চেয়ারম্যান যে ২০০ জনের জন্য বরাদ্দ রেখেছেন তা গত বুধবার আমার উপস্থিতিতে বিতরণের কথা ছিল। আমি বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে চলে যাই। এই তালিকার মাস্টাররোলে স্বাক্ষর হয়নি।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, আড়াই লাখ টাকা দ্রুত বিতরণ করার কথা। যদি বিতরণ না হয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যানকে দ্রুত বিতরণের জন্য বলে দেব। অবশিষ্ট ৬৬ হাজার টাকা ও চালও বিতরণ করতে হবে।


এসডি/আরআর-০১